নিবেদিতা শেঠঃ মুম্বইয়ের নামি অভিনেতার ছেলে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার। প্রথম এভাবেই সামনে এসেছিল খবরটা। আরেকটু খোলসা হতেই চারিদিকে রে রে পড়ে গেল। আর কেউ নয় সেই অভিনেতা, তিনি বলিউডের বাদশা। তাঁর ছেলে আরিয়ান খান নাকি গ্রেফতার হয়েছে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে মাদককাণ্ডে অনেক সেলেবদের নাম জড়িয়েছিল। কিন্তু এহেন ঘটনা নজিরবিহীন। একেবারে হাতেনাতে পাকড়াও গুণধর ছেলে। রেভ পার্টি থেকে মাদক সেবনের অভিযোগে আটক তারপর ১৬ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বি-টাউনের কথা ছেড়েই দিলাম, সব মহলেই ধনী বাপের ছেলের কাণ্ড নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু প্রশ্ন, কেন এত চর্চা?? আরিয়ান কি প্রথম মাদকের সঙ্গে যুক্ত একজন? না। আসলে আরিয়ানের বাবার জীবনের স্ট্রাগল আজ এমন ঘটনায় খুব প্রাসঙ্গিক। মাত্র ৫০ টাকা ছিল ঝুলিতে। মুম্বইয়ের মতো জায়গায় এসে ফুটপাতে থেকে স্বপ্ন দেখেছিল। স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ মান্নাত একদিন নিজের হবে। অভিনয় জগতে এসে কোনও অভিনেতা বাবা কিংবা সেলেব বাবার পুত্র না হওয়ায় লড়াইটা খুব সহজ ছিল না তাঁর। লড়তে লড়তে আজ বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান কোটিপতি, মান্নাতে বিলাসবহুল জীবন তাঁর। সেই জীবনের অধিকারী অবশ্যই তাঁর পরিবারও। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। সোনার চামচ নিয়ে জন্মানো ছেলে আরিয়ান খান মুখ পোড়াল বাবার। কষ্টের লড়াইয়ে অর্জিত খ্যাতি আর স্ক্যান্ডালমুক্ত কেরিয়ারে দাগ ফেলে দিল খোদ গুণধর পুত্র। বাইরের মানুষ তো দূরের কথা বোধহয় ছেলে আরিয়ানের কাছেও অজানা অনামী শাহরুখের বাদশা হওয়ার কাহিনী। যদি জানাই থাকতো তবে হয়তো লেন্সের বাক্স কিংবা বান্ধবীদের স্যানিটারি প্যাডের প্যাকেট থেকে মাদক উদ্ধার হত না!! তবে সবশেষে আরও একটি বিষয় নজরে না আনলেই নয়। অভিজ্ঞ মহলের একাংশের প্রশ্ন, ছেলেটা শাহরুখ খানের বলেই কী এত চর্চা? কারণ কিছুদিন আগেই আদানির বন্দরে জাহাজ ভর্তি ড্রাগ পাওয়া গেল। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। অথচ সেই বিষয় নিয়ে এত আলোচনা, সমালোচনা কিছুই নজরে এল না। আদানির বন্দর তবে বোধহয় ততটা খ্যাতি পায়নি এখনও!