ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জেতার পরদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেলেন ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে। এরপর পায়ে হেঁটেই তিনি যান এক স্থানীয় গুরুদ্বারায়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেত্রী উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন। তিনি বললেন, লখিমপুরে যা হয়েছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং দুর্ভাগ্যজনক। যার প্রতিবাদের ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি। এরপরই তিনি অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য ছোট-খাটো ঘটনাতেই কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনকে পাঠানো হচ্ছে। আসলে দেশের সামনে বাংলার বদনাম করতে চাইছে বিজেপি। আর গোটা দেশের মানবাধিকারের সর্বনাশ করছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল লখিমপুর গিয়েছিল। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে দোলা সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, প্রতিমা মণ্ডল এবং সুস্মিতা দেব গিয়েছিলেন সেখানে। তবে তাঁদের ঢুকতেই দেয়নি পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারির অজুহাতে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আজ না হয় কাল আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াবো। এদিন লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে তিনি সরাসরি যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে তুলোধনা করলেন এদিন। মমতা বলেন, উত্তরপ্রদেশে রাম-রাজ নয়, কিলিং রাজ চলছে। কোথাও গুলি চালিয়ে মেরে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও গাড়ি চাপা দিয়ে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। অথচ বাংলায় সবাই খুশি মতো চলে আসেন। কিন্তু নিজেদের রাজ্যে কাউকে ঢুকতে দেয় না।