জেলা

বনগাঁ পুরসভা দখলে রাখার দাবি তৃণমূলের

বনগাঁঃ বনগাঁ পুরসভা তৃণমূলেরই দখলে রয়েছে। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। তাঁর বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরসভায় হাজির হতে পারেননি বিজেপি কাউন্সিলররা। ফলে পুরসভায় আস্থাভোটে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। তাই পুরসভা তৃণমূলেরই দখলে রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বেলা ৩টের সময়ে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। ৩.১৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন আস্থা ভোট করানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। কিন্তু তৃণমূল চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরা কেউই নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি। উপস্থিত কাউন্সিলরদের ভোটেই জয়ী হন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। সেক্ষেত্রে সময় মতো বিজেপি কাউন্সিলররা না আসায় আস্থা ভোটে নিজেদেরকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে দেয় তৃণমূল। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, দুই কাউন্সিলরের গ্রেপ্তারিতে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়া সত্বেও, তাঁদের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। শাসকদলের মদতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। আস্থা ভোটে যাতে তৃণমূল জয়লাভ করতে পারে সেই চেষ্টা করছে পুলিশ। বনগাঁ পুরসভায় আসন সংখ্যা ২২। ২০ জন ছিলেন তৃণমূলের। ১ জন করে কংগ্রেস ও সিপিএম-এর। দিল্লি গিয়ে ১২ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ৮-এ নেমে গিয়েছিল। শম্পা মহান্ত দলে ফিরে তৃণমূলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯-এ। এদিন এক কংগ্রেস কাউন্সিলরসহ সমর্থন নিয়ে দশজন তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আস্থা ভোট ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। দু’পক্ষই পুরসভা দখলের দাবি করায় রাজনৈতিক উত্তেজনা যেমন চরমে, তেমনই ব্যাপক গন্ডগোল এবং ভাঙচুরে অগ্নিগর্ভ বনগাঁ। ক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকরা ব্যাপক উত্তেজনা শুরু করেন। যদিও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।