আরিয়ান খান গ্রেফতারির ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই একটি নিজস্বী ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি আরিয়ানের সঙ্গে তোলা এক ব্যক্তির নিজস্বী। ওই ব্যক্তির সঙ্গে চেয়ারে বসে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছবির জন্য ‘পোজ’ নিতে দেখা যায় শাহরুখপুত্রকেও। প্রথমে চাউর হয়েছিল, ওই ব্যক্তি জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র কোনও আধিকারিক। এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এনসিবি বিবৃতি দিয়ে জানাতে বাধ্য হয়, ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। নিজস্বীতে থাকা সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার লুক আউট নোটিস জারি করল মহারাষ্ট্রের পুণে শহরের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম কিরণ পি গোসাভি। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে মুম্বই থেকে গোয়াগামী যে প্রমোদতরীর মাদক পার্টি থেকে আরিয়ানকে ধরা হয় বলে অভিযোগ, সেখানে কিরণও ছিলেন। বস্তুত তাঁকেই আরিয়ানদের বিরুদ্ধে অন্যতম পক্ষপাতহীন সাক্ষী হিসেবে ভেবে রেখেছিল মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি। আরিয়ানের মামলায় সাক্ষী হিসেবে যে ন’জনের নাম এনসিবি করেছিল, কিরণ ছিলেন তাঁদের একজন। পুণে পুলিশ জানিয়েছে, কিরণ এখন পলাতক। তিনি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করা হয়েছে। পুলিশের এও দাবি, ওই ব্যক্তির নাম কে পি গোসাবি। ২০১৮ সালে তার নামে জোচ্চুরির মামলা হয়েছিল। তখন থেকে সে আত্মগোপন করে আছে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক ইতিমধ্যে এনসিবি-র অফিসে গোসাবির উপস্থিতি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে, ২০১৮ সালে গোসাবি পুনের এক ব্যক্তির থেকে মালয়েশিয়ায় চাকরি করে দেবে বলে টাকা নিয়েছিল। চিন্ময় দেশমুখ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গোসাবি তাঁর থেকে ৩ লক্ষ ৯ হাজার টাকা নিয়েছে। গোসাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিল, মালয়েশিয়ায় কয়েকটি হোটেলে কিছু পদ ফাঁকা আছে। চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে চিন্ময়ের থেকে দফায় দফায় টাকা নেয়। সে বলেছিল, চাকরি করে দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু ফেরত দেয়নি। গোসাবি নিজেকে প্রাইভেট ডিটেকটিভ বলে পরিচয় দেয়। অভিযোগ, সে বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আরও অনেকের থেকে টাকা নিয়েছে।