জেলা

তারকেশ্বরের লজ থেকে উদ্ধার পরকীয়ায় জড়িত যুগলের দেহ

তারকেশ্বর থেকে পরকীয়ায় জড়িত যুগলের দেহ উদ্ধার। হুগলির তারকেশ্বরের একটি লজে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের দেখা যায়। যুগলের মৃত্যুর খবর শুক্রবার বেলা বাড়তেই জানাজানি হয়। তারপরই মন্তেশ্বর থানার লোহার গ্রামে নামে শোকের ছায়া। নিহতেরা হল বছর ছাব্বিশের বাপন ঘোষ এবং পঁচিশ বছর বয়সি পূজা মাঝি। মন্তেশ্বর থানার লোহার গ্রামে তাঁদের বাড়ি। বাপন ও পূজা দু’জনেই বিবাহিত। দু’টি করে সন্তানও ছিল তাঁদের। শুক্রবার তারকেশ্বর থেকে মন্তেশ্বর থানার পুলিশের কাছে লোহার এলাকার বাসিন্দা ওই যুগলের মৃত্যুর খবর আসে। এরপরেই মন্তেশ্বর থানার পুলিশ মৃতদের পরিবারকে দুঃসংবাদটি জানায়। পাঁচ বছর আগে পূজার পূর্ব বর্ধমানের টুবগ্রামে বিয়ে হয়। তবে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হত না তাঁর। দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে বাপের বাড়ি লোহার গ্রামে চলে আসে পূজা। মেয়েদের বাপের বাড়িতে রেখে একমাস আগেই সে কাজের জন্য বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে, মিষ্টি তৈরির কারিগর হিসাবে তারকেশ্বরের একটি দোকানে কাজ করতেন বাপন। হঠাৎ করে সেই কাজ ছেড়ে দেন। বারুইপাড়া এলাকায়

মিষ্টির দোকানে কাজে যোগ দেন। এরপর তিন সপ্তাহের বেশি সময় নিখোঁজ হয়ে যান বাপন। চিন্তায় পড়ে যায় তাঁর পরিবার। তাঁর খোঁজ পেতেই পরিবারের লোকজন বাপনকে লোহারের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাপনের স্ত্রী গৌরীর দাবি, ইতিমধ্যেই জানতে পারেন তাঁর স্বামীর পরকীয়ার কথা। তিনি জানান, “দেড় মাস আগে থেকে স্বামীর ফোনে পূজা নামে ওই মেয়েটির মেসেজ আসে। ফোন আসে। তাতেই সন্দেহ হয়। একটু খোঁজখবর নিয়ে ওঁদের সম্পর্কের কথা জানতে পারি।” বাপনের মা সুজাতা ঘোষ বলেন, “ওই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েই অশান্তি তৈরি হয়। ছেলেকে অনেকবার বোঝানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বাপনের মোবাইল ভেঙে যায়। গত মঙ্গলবার ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাই ওর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।” তারকেশ্বরের লজ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে লজের ঘর ভাড়া নেয়। তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন দু’জনে। শুক্রবার লজ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। তবে বেলা বাড়লেও যুগলের সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ডাকাডাকি শুরু হয়। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘুলঘুলি দিয়ে ঘরে উঁকি দেন লজের কর্মীরা। তাঁরা দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন বাপন ও পূজা। তারকেশ্বর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।