পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। যদি জোর করে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়, তবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনের আগে দলীয় সভায় কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নির্বাচন উপলক্ষে এদিন কলকাতায় একটি বৈঠকের আয়োজন করে তৃণমূল। ছিলেন পুরনিগমের ১৪৪টি আসনেরই দলীয় প্রার্থীরা। সেখানেই এই বার্তা দেন অভিষেক। উপস্থিত প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, ‘মানুষের কাছে মাথা নিচু করে যান। জনকল্যাণে রাজ্য সরকার যে প্রকল্পগুলি নিয়েছে সেগুলি তুলে ধরুন। তাতেই কাজ হয়ে যাবে।’ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। বারবার সেই ঘটনাই মনে করায় রাজ্যের শাসকদলকে। তাই কলকাতা পুরভোটে কোনও অশান্তি নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হোক। যাতে ভবিষ্যতে বিশেষ করে জাতীয় স্তরে কোনও ইস্যু না খুঁজে পায় বিরোধীরা। আর রাজ্যের বাকি পুরভোটে বাহিনী ইস্যুতে বাগড়া না দেয় বিরোধীরা। তাই দলের প্রত্যেক প্রার্থীদের শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন ও পরিষেবার প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভোট শান্তিতে করতে হবে, কোনওরকম অভিযোগ যেন না আসে। নম্র থাকতে হবে। গায়ের জোরে নয়, মানুষের পাশে থেকে ভোট করাতে হবে। একটিও অভিযোগ পেলে দল কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে বহিষ্কারের পথেও হাঁটতে পারে দল। যাঁরা পুরভোটে টিকিট পাননি, তাঁরাও দলের সৈনিক। পুরভোটে তাঁদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। দলের বিক্ষুব্ধ, যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। নয়ত বহিষ্কারের খাঁড়া নামতে পারে।’ হাজরাতে শনিবারের পুরভোটের স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে অভিষেক জানান, ‘মনে রাখতে হবে, সারাদেশ তাকিয়ে এই ভোটের দিকে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুরোপুরি মেনে ভোট করাতে হবে। আত্মতুষ্টি নয়। মনে রাখতে হবে, জনগণ ৫ বছরের জন্য আপনাদের দায়িত্ব দেবে। জনতার আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, তাঁদের জন্য কাজ করে যেতে হবে।’ এদিনের বৈঠকে ১৪৪ জন পুরভোটের প্রার্থীরা ছাড়াও হাজির ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায়, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জী, অরূপ বিশ্বাস ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।