আজ নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে বিজেপি ও বিজেপি শাসিত কেন্দ্রকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মোদি মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বড় অপদার্থ অমিত শাহ’। তাঁকে অপদার্থ নেতা বলেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে হবে অক্ষরে অক্ষরে। এদিন মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল যুবরাজ। পেট্রোল, ডিজেল এবং কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের ওপর আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তারপরেই বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের ওপরে বাড়তি ঋণ চাপায়নি। বাংলার মানুষের পাশে থেকেছে’। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে বলেন, ‘তৃণমূল দলে একটাই লবি। তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক নম্বরে। বাকি সবাই দু’নম্বরে। এর মাঝে কেউ নেই’। শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে অভিষেক মনে করিয়ে দেন, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনের কথা। উল্লেখ্য, ‘বিতর্কিত জয়’ মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়, এই মামলার সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট। আইনের পথেই সেই ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে বলে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। এদিন অভিষেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, এই নেতা মোদি মন্ত্রিসভার সবচেয়ে অপদার্থ। আরও বলেন, দিল্লি- বাংলার ওপর সবচেয়ে বেশি তোপ দাগেন ওঁ কিন্তু তাঁর অধীনে থাকা দফতরই বলছে দিল্লি ও বাংলা সবচেয়ে সুরক্ষিত। এদিনও অমিত পুত্র জয় শাহের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন, যার ছেলে জাতীয় পতাকা ধরতে অস্বীকার করে তাঁর উচিৎ ছেলেকে ত্যাজ্য পুত্র ঘোষণা করা। শুভেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, নারদার টাকা নেওয়া নেতাদের শেল্টার দিচ্ছেন অমিত শাহ। আরও বলেন, বাংলায় সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই তাই একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূলকে সিবিআই আর ইডির ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলেন, ওদের (বিজেপি) একটা ফুল। আর তৃণমূল মানে জোড়াফুল। এই দু’ই ফুল আসলে হিন্দু ও মুসলমানের সম্প্রীতি। অভিষেক এদিন মঞ্চ থেকে বলেন, দিলীপ ঘোষ নিজেই বলেছেন তাঁর কথায় কেন্দ্র দিচ্ছে না রাজ্যের প্রাপ্য টাকা। তৃণমূল যুবরাজ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে- বাংলায় মানুষের রায়ে জিততে না পারার রাগেই বাংলার মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে বিজেপি। তাঁর কটাক্ষ, ‘বিজেপি শুধু নাম পাল্টানোর রাজনীতি করে’। বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে মেদিনীপুরের নাম হতো ‘মোদিনীপুর’ আর দার্জিলিংয়ের নাম হতো ‘মোদিজিলিং’।