কলকাতা

২০২৪ সালে নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি কোমায় চলে যাবে: অভিষেক

মঞ্চে উঠেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলে সবাই একজনেরই নির্দেশ মেনে চলব। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। এদিন তিনি বলেন, তৃণমূলের ওপর যত আঘাত হয়েছে। দল তত শক্তিশালী হয়েছে। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে যতই হেনস্থা করা হোক, সব জবাব দেওয়া হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে’। তারপরেই তিনি লোকসভা নির্বাচনেও চ্যালেঞ্জ জানান বিজেপিকে। বলেন, ‘চোখে চোখ রেখে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই হবে’। নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি কোমায় চলে যাবে বলেও দাবি করেন অভিষেক। অভিষেক (বলেন, মাথা নত না করে আগামীর নির্বাচনে লড়াই করবে তৃণমূল। তিনি বলেন, তৃণমূল একমাত্র দল যাকে ইডি- সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্বাচনের পরে বিজেপির অবস্থা হবে ল্যাজে গোবরে। তিনি বলেন, বিজেপি জহ্লাদ আর সিপিএম হার্মাদ। এই দুই দল এক হয়ে কুৎসা করছে তৃণমূলের। বলেন, ইডি- সিবিআই বা মিথ্যে মামলার তোয়াক্কা করে না তৃণমূল। এই দল মাথা উঁচু করে লড়াই করতে জানে। মেরুদণ্ড সোজা রেখে লড়াই করবে। তবু বিজেপির কাছে ভয়ে মাথা নত করবে না। তিনি আরও বলেন, গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির নেতারা এসে বলে যেত, বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। অথচ সেই বাংলাই দুর্গাপুজোর জন্য ইউনেস্কোর সম্মান পেল। এদিন তিনি পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে বিতর্কের বিরুদ্ধেও সরব হন। বলেন, ‘কেন্দ্র যদি ৩ হাজার টাকা দিয়ে মূর্তি করতে পারে তবে রাজ্য কেন আড়াইশো কোটি টাকা অনুদান দিতে পারবে না?’ এও বলেন, ‘বাংলার গর্বকে আরও গৌরবান্বিত করতেই এই অনুদান।  ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের বিরোধিতা করা নিয়েও বিস্ফোরক অভিষেক। বলেন, বাংলার মহিলাদের এই প্রকল্পে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তার বিরোধিতা করে তৃণমূল বিরোধীরা। বিরোধীরা বলে, বাংলার মহিলারা বিক্রি হয়ে যায় এই টাকায়। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বলেন তৃণমূল মানে বস্তির পার্টি’। তারপরেই অভিষেক  বলেন, ‘তৃণমূল মানে বস্তি, গরীব, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের পার্টি। এই জন্য তিনি গর্বিত’।   ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে বিজেপি ও বিজেপি শাসিত কেন্দ্র মিলে  বাংলা ও বাংলার মানুষকে হেনস্থা করছে বলে দাবিও করেন অভিষেক। দৃঢ় কন্ঠে বলেন, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কোমায় চলে যাবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বিজেপি- সিপিএম এক হয়ে কুৎসা করেও কোনও লাভ করতে পারবে না’।