জেলা

মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়, ৫ মিনিট লাগবে, এই লোকজন ভেঙে ঢুকে যাব ঠাকুরবাড়িতেঃ অভিষেক

গুরুচাঁদ বা হরিচাঁদ ঠাকুরের যে লড়াই, সেটাকে পুরোপুরি কলুষিত করল শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী

মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মতুয়াগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,  ‘আমি চাইলে ৫ মিনিট লাগবে,  এই লোকজন ভেঙে ঢুকে যাব ঠাকুরবাড়িতে। কিন্তু আমরা ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও-র রাজনীতি বিশ্বাস করি না’। নবজোয়ার কর্মসূচিতে গাইঘাটার ক্যাম্প থেকে ঠাকুবাড়িতে আসবেন অভিষেক। কিন্তু সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই কার্যত দু’ভাগ মতুয়ারাই। একদল যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ঠাকুরবাড়িতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি ছিলেন, তখন কালো পতাকা হাতে ঠাকুরবাড়িতে জমায়েত হন আরও একদল। সকাল থেকে তুমুল বিক্ষোভ, স্লোগান! এমনকী, তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় মন্দিরে দরজাও। নেতৃত্বে  জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।  পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা পুলিশের।  এদিন নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন অভিষেক। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর, বড়মা-র ঘরে গিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও সুজিত বসু এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। অভিষেক বলেন, ‘প্রতিবার কর্মসূচি শুরু করার আগে বা কর্মসূচির শেষে ঠাকুরবাড়িতে এসে পুজো দিই। আমার রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে হাবড়ার। এখান থেকে প্রায় কুড়ি কিমি দূরে। আমরা এখানে আসার কথা ছিল, পুজো দেওয়ার জন্য। আমি কী করে ঢুকতে না পারি,  জোরজবরদস্তি মন্দিরটাকে ঘিরে রেখে দিয়েছে বিজেপির লোক দিয়ে। এই  মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে কোন ধর্মের মানুষ এখানে আসতে পারে। গুরুচাঁদ বা হরিচাঁদ ঠাকুরের যে লড়াই, সেটাকে পুরোপুরি কলুষিত করল শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী’।