কলকাতা

সন্দেশখালি নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিতঃ অভিষেক

সন্দেশখালি-কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিও ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেই ভিডিও নিয়েই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই স্টিং অপারেশনে বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য অনুযায়ী গোটা ঘটনা একটা পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে। এর জন্য টারা প্রভাবশালীদের প্রভাব কাজ করেছে। অভিযোগের তির এখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। এনিয়ে এবার সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই ভিডিও প্রকাশ্য আসার পর এখন বিষয়টি মানুষের কাছে স্পষ্ট। মানুষই এখন এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই জন্য কিছু লোককে আমরা বাংলা বিরোধী বলি। ক্ষুদ্র রাজনৈতিক লাভের জন্য এবার বাংলাকে বদনাম করে। ৪ জুন মানুষ এর জবাব দেবে। শুভেন্দু অধিকারী যদি মনে করেন এটা একটা ষড়যন্ত্র তাহলে তারা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন, সন্দেশখালিতে যা বলা হচ্ছে, তা হয়নি। এর আগেও কলকাতার রাজপথে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। আমরা শুধু শুধু বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলি না।” তিনি আরও বলেন, “আজকে যে তথ্য, ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে এসেছে তা স্বাধীনতার পর সব নির্লজ্জতার ইতিহাস ভেঙে দিয়েছে।” সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লকের মণ্ডল সভাপতির প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “ভিডিওতে উনি বলেছেন, তাবড় তাবড় লোককে গ্রেফতার করানোর কথা। গঙ্গাধর বলেছেন, শুভেন্দু তাঁদের বলেছেন, তাবড় তাবড় লোকেদের গ্রেফতার না করালে তোমাদের কিছু হবে না।” সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেকের মুখে উঠে আসে শুভেন্দুর প্রসঙ্গও। তাঁকে উল্লেখ করে অভিষেক করেন, “শুভেন্দু ভিডিওতে বলেছেন ৩৫৫ জারির পরিস্থিতি তৈরি হবে। প্রায়ই এই সব বলছেন। এমনও বলেন ২০২৬ সালে ভোট হবে না বাংলায়। তার আগেই সরকার ভেঙে দেব।” গরু পাচারের ঘটনা নিয়েও অমিত শাহকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, অমিত শাহের অধীনস্থ বিএসএফ সীমান্ত পাহারা দেয়, অনুব্রত মণ্ডল জেলে, তাও গরু পাচার হলে দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বলব আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনারা যদি ক্ষমা না চান, তা হলে মনে করব আপনাদের নির্দেশেই এইগুলো করা হয়েছে।” পাশাপাশি বিজেপির উদ্দেশে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘ক্ষমতা থাকলে এই গঙ্গাধর কয়ালকে সাসপেন্ড করুক।’ সেই সঙ্গে সিপিএমকেও আক্রমণ করলেন অভিষেক, “সিপিএমের কেউ জনস্বার্থ মামলা করবে আজকের ঘটনা নিয়ে?”