কলকাতা রাজনীতি

বাদল অধিবেশনের আগে ‘ইন্ডিয়া জোট’-এর বৈঠকে ভার্চুয়ালি থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকসভা ভোট-পরবর্তী প্রথম বৈঠকে অংশ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের ভার্চুয়াল সভায় তৃণমূলের তরফে যোগ দেবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, কংগ্রেসের ডাকা এই বৈঠক বসার কথা ছিল দিল্লিতে মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে। তবে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে শনিবার দিল্লি পৌঁছনো সম্ভব নয়। তৃণমূলও জানিয়ে দেয়, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতির জন্য দলের কোনও প্রতিনিধির পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হবে বৈঠক। লোকসভা ভোটের আগে একাধিকবার ইন্ডিয়া জোটের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল প্রতিনিধিদের। কিন্তু, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে জোটের বৈঠকে এই প্রথম অংশ নিতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, অভিষেক শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে থাকবেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, ডিএমকে সভাপতি তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরেও। এর মধ্যেই শুক্রবার ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। এমন পরিস্থিতিতে অভিষেকের অংশগ্রহণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শনিবারের বৈঠকে বাদল অধিবেশনের আগে সংসদে বিরোধীদের রণকৌশল, কক্ষ সমন্বয়, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যৌথ অবস্থান ছাড়াও আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে পারে আসন্ন ভোটগুলি। বিশেষ করে বিহার এবং অসমে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে চলা সমীক্ষা নিয়ে জোটের অবস্থান স্পষ্ট করা হতে পারে শনিবারের বৈঠকে। বিহারে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন যে সমীক্ষা চালাচ্ছে, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের মতে, এই ধারা যদি বিহারে শুরু হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যেও তার প্রভাব পড়তে পারে। তাই বিজেপি-বিরোধী শিবির আগামী দিনে এই ইস্যুতে বৃহত্তর যৌথ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। একুশে জুলাইয়ের সভার প্রস্তুতির মধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নামানোর- লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরেও তৃণমূলের নজরে রয়েছে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের বরফও হয়তো ধীরে ধীরে গলতে শুরু করেছে।