গ্রেফতার করা হয়েছে কর্মীদের। সকালেই ত্রিপুরা পৌঁছেই সোজা খোয়াই থানায় চলে যান অভিষেক। অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কালো পতাকা দেখানো হয় তাঁকে। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। সেই বিক্ষোভ ঠেলেই থানায় পৌঁছন অভিষেক। তৃণমূল নেতৃত্ব যেখানে থানার ভিতরে রয়েছে, বাইরে থেকে থানা ঘিরে ধরেছেন বিজেপি কর্মীরা। অভিষেকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। খোয়াই থানার ওসি-র সঙ্গে তুমুল তর্কবিতর্ক দলীয় নেতৃত্বের। সেখানে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, থানায় তার নথি দেখতে চান অভিষেক। পুলিশ আধিকারিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি অশোকস্তম্ভর মর্যাদা নিয়ে কথা বলুন, পদ্মফুলের নয়।’ গ্রেফতার সকলকে না ছাড়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সারা দিন থানায় বসে থাকবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, যদি থানা থেকে জামিন না দেওয়া হয়, তাহলে গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের ওপর থেকে জামিন অযোগ্য ধারার মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে। থানার আধিকারিকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমরাও আইন জানি।’ জয়া দত্তকে দেখা যায়, থানার টেবিল চাপড়াতে। দোলা অভিযোগ করেন,’ ত্রিপুরা পুলিশ আসলে বিজেপি-র দালালি করছে।’ অন্য দিকে, অভিষেক পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। দিনভর থানায় অবস্থান বিক্ষোভের হুঁশিয়ারিও দিলেন তাঁরা।