অবশেষে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়েই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তদন্তকারী সংস্থা এবং বিজেপিকে জোরালো আক্রমণ করলেন তিনি। রাত ৮টা ৪৯ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে বললেন, ‘আগে জিরো ছিল, এখন মাইনাস টু। আমাকে ৯৬ ঘণ্টা জেরা করেও কিছু হবে না’। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি-র জেরার মুখে অভিষেক। ঘড়িতে তখন ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট। এদিন সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এরপর ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জেরা পর্ব। জেরা যখন শেষ হয়, ততক্ষণে সন্ধে নেমেছে। বৃষ্টি পড়ছে। ছাতা মাথায় দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে থেকে বেরোন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বারবার বলেছি যে, সময় নষ্ট। তাদেরও সময় নষ্ট, যারা ইডির দফতরে কাজ করছে। তাদেরকে আমি দোষ দিই না। তারা তাদের কাজ করছে। রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে গিয়ে অনেক কাজ অনেক সময় ইচ্ছা বিরুদ্ধে গিয়েও করতে হয়। আমি কোনও তদন্তকারী কোনও কর্মীকে কোনও দোষ দিই না। আমি যখন সিবিআই দফতরে গিয়েছি, একই কথা বসেছি। ইডি দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে একই কথা বলছি’। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে ফের বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, ‘যারা রাজনৈতিকভাবে লড়তে পারে না। তারা তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করে, রাজনৈতিক জমি ফিরে পাওয়ার যে মরিয়া চেষ্টা। তাদের জেনে রাখা উচিত, ধূপগুড়ি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর যদি ভাবে আমাকে ইডি দিয়ে ডাকিয়ে ধূপগুড়ি পুনরুদ্ধার হবে, তা সারা জীবনেও হবে না বা পঞ্চায়েতে ফল উল্টে যাবে, সেটা উল্টাবে না। ধূপগুড়ি যেটা বিজেপি জেতা আসন ছিল, ২০২১ সালে। সেই আসনটা তৃণমূল কংগ্রেস তাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ ভোটে। এসব যত করবে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের জন সমর্থন বাড়বে’।