‘গোটা দেশের ইডি, সিবিআইকে বাংলায় নিয়ে আসুন। প্রতিদিন পাঁচটা করে রেইড হোক। তবুও তৃণমূলকে দমানো যাবে না। বরং আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘অতি-সক্রিয়তা’ নিয়ে শনিবার এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, এজেন্সি কাজে লাগিয়ে চাপ তৈরি করে বিজেপি বিরোধিতার পথ থেকে তৃণমূলকে সরানো যাবে না।
১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে রাজভবনের অনতিদূরে অভিষেকের ধর্না কর্মসূচি চলছে। সেখানে সিবিআই, ইডিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন আমাকে চিঠি পাঠাচ্ছে। ওদের খাতার পাতা আর কালি হয়তো শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু চিঠি পাঠানো শেষ হবে না। মন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছ থেকে শুনলাম, তাঁর বাড়িতে গিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা ঘুমোচ্ছিলেন।’ লোকসভা নির্বাচন মাথায় রেখে বিজেপির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানান অভিষেক। এদিকে দার্জিলিং সফর শেষ করে এদিন রাত ৮টা নাগাদ দক্ষিণ দিকের গেট দিয়ে রাজভবনে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল। ১৪৪ ধারা ভেঙে কীভাবে উত্তর দিকের গেটের সামনে তৃণমূলের কর্মসূচি চলছে, তা জানতে তিনি নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে খবর। এ বিষয়ে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি ছ’ থেকে সাতবার মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছে। তখন কেন চিঠি পাঠানো হয়নি?’ ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়ে ইমেল করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এদিন কলকাতায় ফিরেই রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজভবন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা। যে কেউ আসতে পারেন।’ এর পরেই তিনি আজ, সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ তৃণমূল নেতৃত্বকে দেখা করার সময় দিয়েছেন বলে খবর। জবাবে অভিষেক বলেন, ‘আমরা একা যাব না। ১০০ দিনের টাকা না পাওয়া মানুষ সহ মোট ৩০ জনের প্রতিনিধি দল যাবেন। ’