নাবালিকা অপহরণ ও সেইসঙ্গে ধর্ষণের পর তাকে খুনের মামলায় এক ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা শোনালো বারুইপুর আদালত। সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী আজগর আলি খাদি মুন্সারি নাবালিকার বাবার সঙ্গে কাজ করত। সেই সূত্রে তাঁর ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল এবং এভাবেই একদিন পরিচিতির সুযোগ নিয়ে ঘটনাটি ঘটায়। বারুইপুর পকসো আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর রুনু রাজ মণ্ডল জানান, ২০১৯-এর জুলাই মাসে ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় ঘটেছিল। বিচারে অপরাধীকে আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছে।জানা গিয়েছে, অপরাধী আজগর ৬ বছরের ওই নাবালিকাকে বাবার কাছে নিয়ে যাব বলে কোলে করে নিয়ে যায়। এরপর খেয়াদহ এলাকার পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করে এবং নাবালিকার দেহ জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আজগর যে মেয়েকে নিয়ে গেছে তা লোকমুখে জানতে পেরে নাবালিকার মা ওই ঘেরা জায়গায় আজগরের খোঁজে যায়। দরজা যেহেতু তালাবন্ধ ছিল তাই বাইরে থেকে আজগরকে মেয়ের খোঁজ জিজ্ঞেস করলে সে জানায় মেয়ে বাড়ি চলে গিয়েছে। এরপরেই গা ঢাকা দেয় আজগর। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ছয়দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করে এবং দেহ উদ্ধার হয়। পকসো আদালতে বিচার শুরু হয় অভিযুক্তর। শেষপর্যন্ত তাকে অপরাধী ঘোষণা করে আদালত ফাঁসির সাজা শোনায়।