কমনওয়েলথ গেমসে সোনা বাংলার অচিন্ত্য শিউলির । ভারোত্তোলনের ৭৩ কেজি বিভাগে গেমস রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন হাওড়ার তরুণ । ক্লিন এবং জার্ক বিভাগে প্রথম চেষ্টায় তোলেন ১৬৬ কিলো । দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হলেও তৃতীয় চেষ্টায় তোলেন ১৭০ কিলো । একাদশতম বাঙালি হিসাবে কমনওয়েলথে সোনা জিতলেন অচিন্ত্য । ভারোত্তোলনের ৭৩ কিলো বিভাগে রেকর্ড গড়েছেন তিনি । প্রথম চেষ্টায় তোলেন ১৩৭ কিলো। পরের বার ১৪০ কিলো, তৃতীয় চেষ্টায় ১৪৩ কিলো । গেমস রেকর্ড গড়েন মোট ৩১৩কিলো তুলে । দেউলপুরের ভাঙা বাড়ি থেকে কমনওয়েলথ। স্বপ্নকে সঙ্গী করেই ইতিহাসে অচিন্ত্য। গত ২০১৩ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অচিন্ত্যর বাবা। অথৈ জলে পরে পরিবার । ঘটনার আকস্মিকতা বুঝতেই বেশ কয়েকদিন সময় লেগেছিল সদ্য
দশে পা দেওয়া অচিন্ত্যর । যতদিনে বুঝলেন, ততদিনে পরিবারের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। মা’র সাপ্তাহিক রোজগার মাত্র ৫০০ টাকা । দমকল দফতরে অস্থায়ী কর্মীর পদে যোগ দিয়েছেন দাদা । আর্থিক অনটন ঘোচাতে অকাল বিসর্জন দিতে হয়েছে ভারোত্তোলন, সোনা গলায় বিশ্বের দরবারে দাঁড়ানোর স্বপ্ন । দাদার সেই স্বপ্নকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন অচিন্ত্য, অভাবের সংসারে তাকে যত্নে লালন করেছেন প্রত্যেকদিন । সাপ্তাহিক পাঁচশো টাকায় জরির কাজ করতেন মা । তাঁকে সাহায্য করতে নিজেও শাড়িতে জরি বসাতো অচিন্ত্য । দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই আর স্বপ্নকে সঙ্গী করে লক্ষ্যের দিকে নিশ্চুপে এগিয়েছেন । যুব এশিয়ান চ্যাম্পিনশিপে রুপো, খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমসে সোনা, জুনিয়র কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা । অধ্যবসায়কে সঙ্গী করে ভারোত্তোলনের কক্ষপথে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার অচিন্ত্য শিউলি।