বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর ভোটপ্রচারে উত্তেজনা। প্রচারে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে মেজাজ হারালেন সাংসদ। চড় মারলেন এক যুবককে। তাইতেই ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে বহরমপুরের খাগড়ার শান্তি সেবা সংঘ নামে একটি মন্দিরের সামনে দিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গাড়ি যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে স্থানীয়দের উদ্দেশে কটূক্তি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে অধীরকে উদ্দেশ করে গো ব্যাক স্লোগান তোলেন যুবকরা। এর পর গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীর। স্থানীয় এক যুবককে তিনি চড় মারেন বলে অভিযোগ। এর পর অধীরের অনুগামীরা আরও কয়েকজন যুবককে মারধর করে।আক্রান্ত এক যুবক জানিয়েছেন, আমরা মন্দিরের সামনে বসে ছিলাম। অধীরবাবুর গাড়ি থেকে আমাদের কটূক্তি করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করলে গাড়ি থেকে অধীরবাবু এসে গায়ে হাত তোলেন। এর পর ওর গুন্ডারা আমাদের মারধর করে। বহরমপুরে কি কংগ্রেসি গুন্ডামো ফিরে এসেছে’?অধীরের অভিযোগ তিনি নাকি বলেছেন, তৃণমূলরা আমার সভা ঘিরে সমস্যা সৃষ্টি করছিল, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। যদিও পাঁচবারের সাংসদ নিজে কোনও অন্যায় করেছে বলে মনে করেন না। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বহরমপুর প্রার্থী অধীরের নিন্দায় মুখ খুলেছে তৃণমূল। কুণাল বললেন, ‘অধীর রঞ্জন চৌধুরী যা করেছেন অত্যন্ত খারাপ কাজ করেছেন। একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর উপর হামলা করেছেন। কংগ্রেস কর্মীরাই উসকানি দিয়েছেন’। গো ব্যাক স্লোগানের পরিপ্রেক্ষিতে গায়ে হাত তোলার বিষয়টি একেবারেই গ্রহণীয় নয় বলে উল্লখ করেছেন কুণাল। কংগ্রেসকে বিজেপির ‘এজেন্ট’ বলে আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বললেন, এটাই কংগ্রেসের রুচি, তৃণমূল কর্মীর উপর হাত চালানো।