পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হতেই সমস্ত দায় ঝেড়ে ফেললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তদের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট অভিযোগটি দায়ের করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক দেবানন্দ ফুলাসিং চবনের স্ত্রী সুনীতা চবন। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা করেছেন। যশবন্তপুরের বাসিন্দা সুনীতা পুলিশকে জানিয়েছেন, গোপাল জোশী তাঁর স্বামীকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি যদি ৫ কোটি টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে পারেন, তাহলে গোপাল প্রাক্তন বিধায়ককে বিজেপির টিকিট পাইয়ে দেবেন। সুনীতার দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য গোপাল এই টিকিট পাইয়ে দেবেন বলে তাঁর স্বামীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সুনীতা আরও জানান, এরপর তাঁরা গোপালকে ২৫ লক্ষ টাকা নগদ দেন। সেইসঙ্গে, ৫ কোটি টাকার একটি চেকও দেন। ওই চেকটি ইস্যু করা হয়েছিল বিজয় লক্ষ্মীর নামে। কিন্তু, টাকা নেওয়ার পরও দেবানন্দের জন্য বিজেপির টিকিট জোগাড় করতে পারেননি গোপাল। এরপরই গোপালের কাছে তাঁদের দেওয়া টাকা ও চেক ফেরত চায় চবন দম্পতি। তাতে গোপাল ওই চেকটি ফেরত দিয়ে দিলেও, নগদ ২৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়। সুনীতার আরও দাবি, এরপরও গোপাল তাঁদের রাজি করান, যাতে তাঁরা তাঁকে আরও ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দেন। গোপাল চবন দম্পতিকে প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ২০ দিনের মধ্যেই সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। চবন দম্পতি গোপালকে সেই ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা দিলেও, একমাস পরও সেই টাকা আর ফেরত দেননি তিনি। সুনীতার দাবি, এরপর গত ১ অগাস্ট তাঁরা বিজয় লক্ষ্মীর বাড়িতে গেলে তিনি চবন দম্পতির সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন।এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গোপালের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী, ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে তাঁর পেশ করা একটি হলফনামার প্রসঙ্গও এক্ষেত্রে উত্থাপন করেন প্রহ্লাদ।মন্ত্রী জানান, সেই সময়েই তিনি আইন মেনে আদালতে একথা জানিয়েছিলেন যে তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাই গোপালের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই বৃহস্পতিবারের এফআইআর-এর সূত্র ধরে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক টানায় বেজায় বিরক্ত হয়েছেন প্রহ্লাদ জোশী। তাঁর সাফ কথা, অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই, তাঁরা যদি কোনও অন্যায় বা অপরাধ করে থাকেন, তাহলে আইন আইনের পথেই চলবে।