মঙ্গলবার রাতে আড়াই ঘণ্টা জেরার পর বুধবার সকালে ফের মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই । দ্বিতীয় দফায় জেরার জন্য এদিন সকাল ৯টা নাগাদ আবারও প্রেসিডেন্সি জেলে যান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতি নিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আদালতের নির্দেশ মেনেই পোস্টিং দুর্নীতিতে মানিককে জেরা শুরু সিবিআইয়ের। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে জেরা। বুধবার সকালে ফের প্রেসিডেন্সি জেলে হাজির হয়েছেন সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক। পোস্টিং-দুর্নীতি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই জেরা করা শুরু হয়েছে মানিককে। তদন্তকারীরা মনে করছে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করলেই নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে পারে। মঙ্গলবার রাত প্রায় দু’ঘণ্টা সিবিআইয়ের চার আধিকারিক মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিবিআইয়ের এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিকরা। হাইকোর্টের নির্দেশে এই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। নিয়োগ দুর্নীতির অন্য মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেল হেফাজতে থাকা মানিককে সিবিআই নিজের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।