বিএসএফ-এর সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে শুক্রবার রাজ্যে এসে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গ ও পঞ্জাবের সঙ্গে সংঘাত চলছে রাইসিনা হিলসের। তার মাঝেই রাজ্যে এসে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ও ডিজিপি মনোজ মালব্যের সঙ্গে হিডকো ভবনে বৈঠক করেছেন অজয় ভাল্লা। এই আলোচনায় হাজির ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত শেয়ার করা দশ রাজ্যের জেলা শাসক ও এসপি। দুই ২৪ পরগনা, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, নদিয়া, মালদা ও মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকরা রয়েছেন এই বৈঠকে। টানা আড়াই ঘন্টা রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। যদিও আজকের বৈঠকে রাজ্যে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে কোনও আলোচনা হয় নি বলেই জানা গিয়েছে। মূলত এদিনের ঘটনায় বর্ডার ফেন্সিং, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এবং বর্ডার আউটপোস্ট বসানো নিয়ে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। এছাড়াও রাজ্যে কতটা এলাকা কাঁটাতারের জন্য ঘিরতে হবে সেই তালিকা দ্রুত তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। যদিও এদিন স্বরাষ্ট্রসচিবকে দেওয়া পাওয়ার পয়েন্ট তথ্যচিত্রে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ভুল নাম দেওয়া নিয়ে মতবিরোধ হয় রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যের তরফে সেই ভুল ঠিক করতে বিশেষ রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। মূলত, এদিনের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সীমান্ত এলাকায় জমি চিহ্নিত করা। যা দ্রুত চিহ্নিত করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।


