মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ মেনে পদত্যাগ করছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।তবে, যে ঘটনা থেকে পুরো বিষয়টির সূত্রপাত, সেই বন দপ্তরের মহিলা কর্মীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ‘কোনও প্রশ্নই ওঠে না’ বলে জানালেন রামনগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। এমনকী, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পরেও তিনি অনুতপ্ত নন, বলেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন অখিল গিরি। ‘ শনিবারের ঘটনার পর দলের তরফে তাঁকে মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তাঁকে নির্দেশ দেন ফোন মারফৎ। তবে, যে মহিলা আধিকারিককে ‘কুকথা’ বলার জন্য এই পরিণতি হল, তাঁর কাছে ক্ষমা না চাওয়ার ব্যাপারে অনড় অখিল গিরি। অখিল এদিন বলেন, ‘আমি কখনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাই না। আমার রাজনৈতিক জীবনে কোনও আধিকারিকের কাছে আমি ক্ষমা চাইনি। তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। একজন আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’ তাজপুরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ নিয়ে বচসা বাধে অখিল গিরির সঙ্গে বন দফতরের মহিলা আধিকারিকের। একটি ভিডিয়োতে তাঁকে ওই মহিলা সরকারি কর্মীর উদ্দেশে নানা কটু কথা এবং হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিতে দেখা যায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, অখিল গিরির এহেন আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দলের তরফে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল আগেই। সম্ভাবনা সত্যি করে সোমবার মন্ত্রী অখিল গিরিকে পদত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়। অখিল গিরি সোমবারই মেল্ মারফত পদত্যাগ পত্র মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার বিধানসভায় পদত্যাগ পত্রের হার্ড কপি জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র এদিন জানিয়েছেন, ওই মহিলা অফিসারের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করার বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি নিয়ে দল যে তাঁর পাশে থাকছে না, সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে যায় এদিন।