কলকাতা ভাইরাল

ফেসবুকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে কুরুচিকর পোস্ট, মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ!

মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিকর পোস্ট করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ। । অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি তুলেছেন। ফেসবুকে সেই পোস্টের ছবি শেয়ার করে কুণাল লিখছেন, ‘এই পোস্ট অবিলম্বে ডিলিট করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজনীতিতে পেরে না উঠলেই এমন বিকৃতি আসে। তবে, সিপিএম তো, এরকমই মানসিকতা স্বাভাবিক।’ তাঁর এই পোস্টের পরেই গোটা ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই পোস্ট করে সংখ্যালঘু-বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ্যে এনেছেন সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৷ এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কলকাতা পুরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী থেকে নেতা কুণাল ঘোষও সরব হন ৷ কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত চেতলা থানায় মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় ৷ অভিযোগকারীদের তরফে পিটার মুখোপাধ্যায় জানান, কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের তরফে চেতলা থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে । ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না-চাইলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা হবে ৷ এছাড়া কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের কাছে ইমেলে অভিযোগ করেন ‘ইন্ডিয়া ওয়ানটস মমতাদি’ ফেসবুকে পেজের মহম্মদ তৌসিফ রহমান । ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘উনি যদি এটা না-করে থাকেন, তাহলে ওঁর উচিত থানায় অভিযোগ করা । সাইবার ক্রাইম সেলে জানানো । তারা তদন্ত করে দেখুক কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে । এটা সাম্প্রদায়িক উস্কানি । এটা অত্যন্ত অন্যায় । এটা অত্যন্ত নোংরা কাজ । অত্যন্ত বর্বর৷ যার নিন্দার কোনও ভাষা নেই। ’’যদিও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করছেন মীনাক্ষী। মীনাক্ষী লিখছেন, ‘এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট যারা পরিচালনা করছেন বা পোস্ট করছেন, এর সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। বা এই ধরণের পোস্ট সম্পর্কে আমি অবগত নই।’  তবে তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও এখনই আইনি পথে হাঁটছেন না মীনাক্ষী। জানা যাচ্ছে এমনটাই।  যদিও এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।  তাঁর প্রশ্ন, “ওটা যদি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুক অ্য়াকাউন্ট না হয় তাহলে তিনি কেন সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করলেন না? কেন বললেন না তাঁর ফেসবুক হ্যাক হয়েছে?”