কলকাতা

‘বিপর্যয়’-এর বাজেটে যন্ত্রণা বাড়বে সাধারণের, মত রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের

আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ল। বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। পোষণ ২.০ প্রকল্পে প্রান্তিক এলাকার মহিলাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি। নির্মলার তূণ থেকে একাধিক বাণ বেরিয়েছে অর্থ বাজেটে। মধ্যবিত্তের জন্য ‘যুগান্তকারী’ বাজেট বলে দাবি বিজেপির। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, এই বাজেট আদতে ‘ধ্বংসাত্মক’। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের মতে, ‘এই বাজেট বিপর্যয়ের বাজেট। সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা বাড়াবে।’ ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম বাজেট পেশ হলো শনিবার। প্রত্যাশা মতো আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছে এ বারের বাজেটে। উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করে সাত লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তবে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত বলেন, ‘মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিষয়গুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই বাজেটে।’ তাঁর দাবি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা খাতে ৫ শতাংশ বরাদ্দ ছাঁটা হয়েছে। খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রেও ভর্তুকি ১ শতাংশ কমানো হয়েছে। যা আগামী দিনে ‘জীবনযন্ত্রণা’ বাড়াবে বলে মনে করছেন অমিত।  অমিত বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটির হার নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না। এর যৌক্তিকতা কী? বিমায় কর ছাড় অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ছিল।’ উল্লেখ্য, জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে অমিত মিত্র বারবার স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটির হার কমানোর ব্যাপারে প্রস্তাব রেখেছেন। এই দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে দু’বার চিঠিও পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমায় বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টির মধ্যে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন অমিত মিত্র। কেন্দ্রের পোষণ ২.০ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি শিশু, ১ কোটি অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতির পাশাপাশি বয়ঃসন্ধিকালীন ২০ লক্ষ মহিলাকেও এবার আনা হল। এই প্রকল্পে বিশেষ জোর উত্তর-পূর্ব ভারতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। তবে দেশের মহিলাদের জন্য তা খুবই সামান্য বলে মনে করছেন অমিত মিত্র। নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ নজর নেই এই বাজেটে, দাবি রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর।