দেশ

সর্বদলীয় বৈঠকের আগেই মণিপুরে ইন্টারনেট বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি

আজ, শনিবার নয়াদিল্লিতে বসতে চলেছে সর্বদলীয় বৈঠক ৷ মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই এই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ দুপুর ৩টের সময় শুরু হওয়া এই বৈঠকে পৌরহিত্য করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ কিন্তু এই বৈঠকের ঠিক আগে মণিপুরে শান্তি বজায় রাখতে ও অশান্তি রোধ করার প্রয়াসে ওই রাজ্যের সরকার ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা ২৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে ।প্রসঙ্গত, তফসিলি উপজাতিদের তালিকায় মেটেইদের অন্তর্ভুক্তির দাবির প্রতিবাদে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা এটিএসইউ মণিপুরে সমাবেশ করে গত ৩ মে ৷ ওই সমাবেশে সংঘর্ষের পর থেকেই মণিপুরে হিংসা শুরু হয় বলে অভিযোগ । তার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হয় ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে যান মণিপুরে ৷ অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফেরার আহ্বান জানান সংঘর্ষে জড়িতদের ৷ এর পর অনেকেই আত্মসমর্পণ করেন ৷ সেই সময় কিছুটা শান্ত হয়েছিল উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্য ৷ তার পর আবার নতুন করে হিংসা ছড়াতে শুরু করেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ৷ যদিও এই নিয়ে বিরোধীরা নিশানা করেছে কেন্দ্রকে ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মণিপুর নিয়ে পদক্ষেপ করতে অনেক দেরি করে ফেলেছে কেন্দ্র ৷ আরও আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত ছিল কেন্দ্রের ৷ এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি ৷ তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন বিদেশ সফরে, সেই সময় এই বৈঠক ডেকে কেন্দ্র প্রমাণ করল যে তারা মণিপুরের ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ৷ মণিপুরের হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও নিশানা করেছেন রাহুল ৷ এই নিয়ে তিনি টুইটারে লিখেছেন, মণিপুর 50 দিন ধরে জ্বলছে ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নীরব । প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন দেশে নেই, তখন এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে । এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বৈঠক যে গুরুত্বপূর্ণ নয় তা স্পষ্ট । অন্যদিকে মণিপুরে শান্তি ও সম্প্রীতির আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘মণিপুরে মানুষের জীবন ধ্বংসকারী নজিরবিহীন হিংসা আমাদের দেশের বিবেকে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে ।