অবশেষে মতুয়া গড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠাকুরনগর সভা করলেন। সভাতে সাফ জানালেন, বার বার তিনি ঠাকুরনগরে আসবেন। তিনি বলেন, ‘মমতা খুব খুশি হয়েছিলেন, আমি না আসায়, কিন্তু উনি না হারা অবধি আমি বার বার আসব। বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। মমতার বিদায় নিশ্চিত।’ তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি সিএএ নিয়ে আমি কী বলব তা জানতে তৃণমূল, সংবাদমাধ্যম মুখিয়ে রয়েছে।’ বলেছেন, ‘কথা দিয়েছিলাম, ২০২০ তে সিএএ আনব। করোনা টিকাকরণ শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। মুসলিমদের নাগরিকত্বও যাবে না।’ তিনি বলেন, শান্তনুকে বলেছিলাম যে ঠাকুরনগরে আসব৷ আগেরবার আসতে পারিনি৷’’ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে উপস্থিত জনতা যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুনতে চায়৷ তাই তিনি দেরি না করে এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করব৷ মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেব৷ ২০১৯সালে মতুয়ারা আমাদের ভোট দিয়েছেন৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইন করেছি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইন কার্যকরে বাধা দান করার হুমকি দিচ্ছেন৷ কিন্তু আমরা যা বলি তাই করি৷’’ এর পর তিনি জানান যে কোরোনার কারণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেরি হচ্ছে৷ তবে দেশজুড়ে কোরোনার টিকাকরণের কাজ শেষ হলেই এই আইন কার্যকর হবে৷ এদিন একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেছেন তিনি৷ রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সুবিধা সাধারণ মানুষকে পেতে দিচ্ছে না বলে আবারও অভিযোগ করেছেন তিনি৷
একনজরে দেখে নিন অমিত শাহের বক্তব্য –
• ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম শ্রীধাম ঠাকুরনগর স্টেশন রাখার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
• সিএএ–তে মুসলিমদেরও নাগরিকত্ব যাবে না।
• তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস সিএএ নিয়ে মানুষদের ভয় দেখাচ্ছে।
• সিএএ কারও নাগরিকত্ব নেবে না। নাগরিকত্ব দেবে।
• টিকাকরণের কাজ শেষ হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি।
• করোনা থেকে মুক্তি পেলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি।
• করোনার জন্য তা চালু করার কাজ শুরু করা যায়নি।
• ৭০ বছর ধরে মতুয়া, নমঃশূদ্ররা নাগরিকত্ব পাননি।
• সোনার বাংলা গড়বে বিজেপির ডবল ই্ঞ্জিন সরকার।
• গত ৫ বছরের মধ্যেই গরিবের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে ফেলেছে বিজেপি।
• দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য অনেক কাজ করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।
• হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরকে আমার প্রণাম।
• মতুয়াদের সম্মানের জন্য সব করবে বিজেপি।
• বাম জমানা থেকে হিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। মমতা তা আটকাননি। বাংলায় সরকার গড়ে বিজেপি তা আটকাবে।
• সিএএ নিয়ে যাঁরা গুজব রটান, তাঁদের জবাব দিতে বারবার আসব।
• আগেরবার যখন আসতে পারলাম না, মমতা দিদি খুব খুশি হয়েছিলেন। শুনে রাখুন, আমি বারবার আসব এখানে।