‘একে ভার্সেস একে’ সিনেমায় ভারতীয় বায়ু সেনাবাহিনির ভাবমূর্তি বিকৃত করার অভিযোগ এনেছিল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। তাদের দাবি, এই সিনেমায় ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের পোশাককে। যা যথেষ্ট অসম্মানজনক। অতঃপর ছবি থেকে এই দৃশ্যগুলি ছেঁটে ফেলতে হবে। অতঃপর মুক্তির আগেই বেজায় বিপাকে পড়েছে অনুরাগ কাশ্যপ, অনিল কাপুরের ছবি। তার জেরেই এবার চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন অনিল কাপুর। বললেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে আঘাত করিনি। যা করেছি সিনেমার চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই করেছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘একে ভার্সেস একে’ সিনেমার ট্রেলার। তবে ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পরই বাঁধে বিপত্তি। বেশ কিছু দৃশ্যে অভিনেতা অনিল কাপুরকে ভারতীয় বায়ু সেনাবাহিনির পোশাক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। যা ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের কাছে একেবারে নাপসন্দ তো লেগেইছে, তার পাশাপাশি অসম্মানজনকও ঠেকেছে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের। তাদের দাবি, “ভারতীয় বায়ু সেনাবাহিনির পোশাক পরে কিছু কুরুচিকর কথা বলতে শোনা গিয়েছে। যাঁরা ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে চাকরি করেন, তাঁদের আচার-আচরণ মোটেই এরকম নয়। এছাড়া তাদের পোশাককেও অপমান করা হয়েছে। অতঃপর ছবি থেকে এই দৃশ্যগুলি বাদ দিয়ে দিতে হবে।” নেটদুনিয়ায় এই বিতর্কের পরই মুখ খোলেন অভিনেতা অনিল কাপুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে অনিল কাপুরের মন্তব্য, “ভারতীয় বায়ু সেনার পোশাক পরেতিনি ইচ্ছে করে ওই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে চাননি। অভিনয়ের জন্যই বায়ু সেনা অফিসারের পোশাক পরেছিলেন তিনি। যেখানে ওই বায়ুসেনা অফিসারের মেয়েকে অপহরণ করা হয়। রাগে, দুঃখে ওই অফিসার ওই ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন পর্দায়। অতঃপর চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে ওই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা কারও যদি অপমানজনক বলে মনে হয়, তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।”