অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম সুযোগ তৈরি করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় আর্জেন্টিনার ডিফেন্স। ম্যাচের ১০ মিনিটে আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। তবে নিকোলাস ওতামেন্দির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি এলেক্সিস ম্যাকএলিস্টার। ম্যাচের ১৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে শট করেন পাপু গোমেজ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে বাদিক থেকে সাজানো আক্রমণে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে তা ক্লিয়ার করে দেন ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ২৩ মিনিটেও আক্রমণ করে অস্ট্রেলিয়া। কোন বিপদ ঘটাতে না পারলেও কর্নার আদায় করে নেয় তারা। তবে কর্নার থেকে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।ম্যাচের ৩১ মিনিটে ফ্রি কিক পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রি কিক কাজে লাগাতে না পারলেও ফ্রি কিক থেকে আসা বল নিয়ে আক্রমণ থেকে বক্সে বল পান মেসি। সেখান থেকে প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান তিনি। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে এটাই ছিল মেসির প্রথম গোল। এর আগে মেসি বিশ্বকাপে ৮ গোল করলেও তার একটিও নকআউট পর্বে ছিল না। সবগুলোই করেছেন বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। ম্যাচে লিড নিয়ে আরও আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। গোল শোধের লক্ষ্যে পাল্টা আক্রমনে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁজ আরো বাড়ায় আর্জেন্টিনা। ৫৭ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের গোলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের লিড নেয় নীল সাদা ব্রিগেড। পিছিয়ে পড়ে এবার পাল্টা আক্রমণে ঝড় তুলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ৭৬ মিনিটে গোলের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। বক্সের বাইরে থেকে শটে বল আর্জেন্টিনার জালে জড়ান ক্রেগ গুডউইন। ফলাফল দাঁড়ায় ২-১। এরপর আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও কেউই গোল করতে পারেনি।