ডার্বি জিতে ডুরান্ড কাপে জয়ের খাতা খুললো এটিকে মোহনবাগান। ঐতিহ্যের লড়াইয়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারালো সবুজ মেরুনরা। এই নিয়ে টানা ছ’বার লাল-হলুদদের পরাস্ত করে ডার্বি জয় সবুজ-মেরুনদের। সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করল এটিকে মোহনবাগান ৷ দু’দলেই ভারী কোনও নাম নেই, যাঁরা ভরসার শালগ্রাম শিলারূপে পূজিত হতে পারেন সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে ৷ তবে যেহেতু এটিকে মোহনবাগান গত মরশুমের কোর টিমটা মোটামুটি ধরে রেখেছে তাই ধারেভারে সবুজ মেরুন-কেই এগিয়ে রাখছিলেন বিশেষজ্ঞরা ৷ অন্যদিকে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের আনকোরা দল ম্যাচটা জিতলেই বোধহয় সবচেয়ে বড় অঘটন হত ৷ কিরিয়াকু যদিও ভালোই সামলাচ্ছিলে রক্ষণ ৷ যতক্ষণ না তালগোল পাকালেন সুমিত পাসি ৷ যার গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার কথা, সেই রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব থেকে আসা সুমিত পাসি প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় আত্মঘাতী গোলে হতোদ্যম হয়ে পড়ে লাল-হলুদ ৷ অথচ প্রথমদিকে জড়োসড়ো দেখালেও প্রতি-আক্রমণে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে চাপে ফেলার চেষ্টায় ছিল কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা ৷ কিন্তু আত্মঘাতী গোলই সম্ভবত লড়াই চালানোর শেষ আশাটুকুও সম্ভবত শেষ করে দেয় ৷ লিস্টনের তোলা কর্নারের গতিপথ বুঝতে ভুল করেন লাল-হলুদ শট-স্টপার কমলজিৎ সিং৷ সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়েই তা জালে জড়িয়ে দেন পাসি ৷ চার বিদেশি নিয়ে শুরু করা কনস্ট্যানটাইন দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি পরিবর্তন করেন ৷ দু’দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে ৷ কিন্তু গোল আর হয়নি ৷ গোল করার লোকের অভাব স্পষ্ট লাল-হলুদে ৷ যা ভোগাতে পারে বাকি মরশুমেও ৷ এই হারের সঙ্গে ডুরান্ডে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হল লাল-হলুদের ৷