বান্ধবীর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক !
হরিদেবপুর হত্যাকাণ্ডের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রহস্য। মৃত অয়নের মায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের কাছে । অয়নের বাড়িতে এসে তাঁর বান্ধবী অয়নের মা মঞ্জু মন্ডলকে বলেন, “আমি সন্তান সম্ভবা । আমার গর্ভে সন্তান আছে ।” পুলিশকে এই তথ্য দিয়েছে মৃত অয়নের মা মঞ্জু মণ্ডল । যদিও লালবাজারের দাবি অয়নের বান্ধবী সত্যি সন্তান-সম্ভবা কি না, তার পরীক্ষা করা হবে । সূত্রের খবর, মৃত অয়ন মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর মায়েরও একটি সম্পর্ক ছিল । এদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি ত্রিকোণ প্রেমের তত্ব সামনে আসছে। সূত্রের খবর, অয়ন মণ্ডলের সঙ্গে তার বান্ধীর যেমন একটা সম্পর্ক ছিল তেমনি তার মায়েরও একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এমনকি এমন কথাও উঠে আসছে যে অয়ন তার সঙ্গে প্রীতি ও তার মায়ের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি নাকি দেখিয়ে বেড়াত। তার ফলে অয়নের উপরে গোটা পরিবারের একটি আক্রোশ তৈরি হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে হরিদেবপুর থানাকে এই তথ্যই জানিয়েছে মৃত অয়নের বাবা । অভিযোগ, সেই সম্পর্কে টানাপোড়েনের ফলেই ঠাণ্ডা মাথায় ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহ লোপাট করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা । তবে অয়নের বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে অয়নের ঠিক কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার নয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । জানা গিয়েছে, অয়নের নিখোঁজ হওয়ার দিন তাঁর বাড়িতে আচমকাই হাজির হয় বান্ধবী । মঞ্জু দেবীর দাবি, প্রথম থেকেই অয়নের বান্ধবীকে অন্যমনস্ক দেখাচ্ছিল । বারবার অয়নের খোঁজ করছিল ৷ কিন্তু সেই সময় অয়নের মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। মঞ্জু দেবীর পুলিশের কাছে দাবি, আচমকা অয়নের বান্ধবী তাঁকে জানান, অয়নকে হয়তো পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে । কিন্তু বান্ধবীর কাছে তাঁর মা জানতে চান, পুলিশ কেন ধরে নিয়ে যাবে ? জবাবে বান্ধবী জানায়, সে সন্তান-সম্ভবা এবং তাঁর গর্ভে অয়নের সন্তান রয়েছে । অয়ন তাঁদের বাড়িতে যান সেই সময় বান্ধবীর মা অয়নকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ । আর তারপর থেকেই অয়ন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন । ঘটনার পর অয়নের মা তাঁর বান্ধবীর কাছে বারংবার জানতে চান, সে নিয়ে কি তাঁদের দু’জনের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়েছিল ? কিন্তু তার উত্তর মেলেনি । এর ২৪ ঘণ্টা পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের একটি নির্জন এলাকা থেকে অয়নের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । অয়নের পরিবারের অভিযোগ, বান্ধবীর মায়ের সঙ্গেও অয়নের সম্পর্ক ছিল । সেজন্যই তাঁকে ডেকে একেবারে ঠান্ডা মাথায় খুন করে লাশ গায়েবের চেষ্টা করা হয় । যদিও এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক মুখ খুলতে চাননি ।