গ্রামের ছোট চালের মুড়ি খাও, মনের আনন্দে গান গাও, বাবুলকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। এই বৈঠকের সময় আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। বৈঠকের সময় তার সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ নবান্নে প্রবেশ করেন বাবুল। প্রায় ৩০ মিনিট তিনি ছিলেন সেখানে। নবান্ন থেকে বেরোনোর পর বাবুল সুপ্রিয় জানান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি আপ্লুত। যে ভালোবাসার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে গ্রহণ করেছেন এতে তিনি অত্যন্ত খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি ভবিষ্যতের কর্মপথ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও কি হতে চলেছে তার নতুন দায়িত্ব সেই সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি তিনি। তিনি জানান এই বিষয়ে কথা বলার কোন অধিকার তাঁর নেই। সঠিক সময়ে দল জানাবে তাঁর কি দায়িত্ব হবে। বাবুল আরোও জানান মুখ্যমন্ত্রী তার উপরে ভরসা রেখেছেন এবং তিঁনি খুব মন দিয়ে কাজ করে সেই ভরসার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবেন। এছাড়া বাবুল জানিয়েছেন, তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুল এও জানান, আমি চাই আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী পদে সবচেয়ে এগিয়ে। পাশাপাশি বাবুলকে মনের আনন্দে গান গাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রী তাঁকে যে গান গাইতে বলবেন, তিনি সেই গানি গাইবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালে আগে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালের সামনে একসঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং তত্কালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এরপর বারেবারেই সেই ‘ঝালমুড়ি’ খাওয়ার গল্প উঠে এসেছে রাজনৈতিক আলোচনায়। ছয় বছর পর ফের সামনে চলে এল সেই ঝালমুড়ি তত্ত্ব। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। দলবদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এই প্রথমবার মুখোমুখি সাক্ষাত্ হল সোমবার দুপুরেই। ওই সাক্ষাতে মমতা ও তাঁর আলোচনায় মুড়ির প্রসঙ্গও ছিল বলে জানালেন সয়ং বাবুল। এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বের হওয়ার পরই ঝালমুড়ি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরও দিলেন আসানসোলের সাংসদ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমিও মুড়ি খেতে খুব ভালবাসি। তবে সাদা মুচেমুচে মুড়িতে ইউরিয়া থাকে। এতে ওজনও বাড়ে। তাই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন গ্রামের ছোট চালের মুড়ি খেতে। আপ্লুত বাবুল জানিয়ে দেন, এবার মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে তিনি সেই মুড়িই কিনবেন।