বদলাপুরের স্কুলে সেখানকার কর্মী অক্ষয় শিন্ডে তিন ও চার বছরের যে দুই ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল বলে অভিযোগ, তার বিস্তারিত রিপোর্ট শুক্রবার সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে অন্তত দিন ১০-১২ দিন ধরে ওই দুই শিশুর উপরে যৌন নিগ্রহ চলেছে। মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ধর্ষণের ফলে তাদের দু’জনেরই যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। হাইমেনও ক্ষত-বিক্ষত। স্কুলের গাফিলতির কথাও উঠে এসেছে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। তারা যে অবিযোগ পাওয়ার পরে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি, তা বলা হয়েছে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, অক্ষয় ১ অগস্ট থেকে ওই স্কুলে নিযুক্ত হয়। তার কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক হয়নি। কিন্তু স্কুলের সর্বত্র তার অবাধ যাতায়াত ছিল। শিশুদের টয়লেট কিছুটা দূরে। বেশ ফাঁকা জায়গায়। সেখানে কেন ওই দুই শিশুকে অক্ষয় নিয়ে গিয়েছিল, সে প্রশ্ন তুলেছে কমিটি। স্কুলের যেখানে এফআইআর করার কথা, সেখানে তারা অভিযোগ শুনেও পদক্ষেপ করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুদের পরিবার জানিয়েছে, তাদের উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল তারা যাতে এই ইনজুরি মার্কগুলোকে ‘সাইকেল চালানোর সময়ে আঘাত’ পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন। মা-বাবাদের দাবি, পুলিশই স্কুলের হয়ে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। এ দিকে, শিশুদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগে আজ শনিবার রাজ্যে বন্ধের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস-উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শারদ পাওয়ারের এনসিপির ‘মহাবিকাশ আগাড়ি’ জোট। ঠিক তার আগে একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে এই ইস্যুতে কোনও রাজনৈতিক দল বন্ধ ডাকতে পারবে না। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায় এ দিন ওই নির্দেশে বলে, কোনও রাজনৈতিক দল অথবা ব্যক্তিকে বন্ধ ডাকা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। সেখানে এ ভাবে বন্ধ ডাকা যায় না। তা অবৈধ। রাজ্যকেও কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলার জন্য।