বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মূলত, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হিসাবে বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা হাসিনা বিরোধিতার রঙ নেয়। ধীরে ধীরে তা রাজনৈতিক গদি পরিবর্তনের ডাক দেয়। আন্দোলন ঘিরে রক্তাক্ত পরিস্থিতির পর হাসিনা দেশ ছাড়তেই, সেদেশের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন।বাংলাদেশের শাসনের রাশ কার্যত সেদেশের সেনার হাতে আসতে শুরু করেছে। ৫ অগস্ট, ২০২৪ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দিতেই তিনি দেশ ছাড়েন। সেই ঘটনার কথা জানান বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জমান। তিনি এদিন, বাংলাদেশের নৌ ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতারাও। বৈঠকে বিএনপি ও জামাতও অংশ নেয়। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন হাইভোল্টেজ বৈঠকে স্থির হয়, বিএনপির জাতীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তৎক্ষণাৎ জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগে, হাসিনা সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়াকে ১৭ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে এক ঘুষ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।