জেলা

রানাঘাটে ভোটের আগেই ফের বিজেপি বড় ভাঙন,

এনডিএ চারশো আসন পার করে ফেলবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কিন্তু রানাঘাট থেকে তৃণমূল শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা কটাক্ষ করে বললেন, ৪ জুন চারশো ভোল্টের ধাক্কা খাবে বিজেপি৷ একই সঙ্গে অভিষেকের দাবি, প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, সেই তিনটি আসনেই জয়ী হবেন তৃণমূল প্রার্থীরা৷ রবিবার মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সভায় চমকও দেন অভিষেক। রবিবারের সভায় নদিয়ায় বিজেপি জেলা পরিষদ সদস্য পূর্ণিমা দত্ত অভিষেকের মঞ্চে যোগ দিলেন তৃণমূলে। ফলে রানাঘাটে ভোটের আগেই দলবদলে বড় সাফল্য পেল তৃণমূল। এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ২০১৯ সালের আগে থেকে CAA চালুর কথা বললেও, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত আসলে ‘জুমলা’ বলে অভিযোগ করেন তিনি। CAA-র পর NRC আসবে না বলে কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে, তিনিও CAA-কে সমর্থন করবেন বলে এদিন চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক। অভিষেকের আশঙ্কা রানাঘাটের প্রচার পর্ব শেষ হয়ে গেলে বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা বিলি করতে পারে। সেই সূত্রেই তিনি বলেন, ”বিজেপি বাড়ি বাড়ি যাবে পয়সা বিলি করতে। আমি আপনাদের হাতজোড় করে বলব, বিজেপি টাকা দিলে, সেই টাকা নিয়ে নেবেন। দরদাম করবেন। কাউকে ৫০০ টাকা দিলে ২০০০ টাকা চাইবেন। কাউকে ২০০০ টাকা দিলে ৫০০০ টাকা চাইবেন। এই টাকা আপনার টাকা। পাঁচ বছর আপনার সঙ্গে বঞ্চনা করেছে, ভাওতাবাজি করেছে। আপনি একদিন করবেন, ১৩ মে। স্যাঁকরার ঠুক ঠাক, কামারের এক ঘা। আপনি একদিন সুযোগ পাবেন।” অভিষেক এদিন জানান, নির্বাচনের ঠিক মুখে যে CAA কার্যকর করেছে বিজেপি, তার আবেদনপত্রটিই ৪০ পাতার। সেখানে আগে আবেদনকারীকে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি অথবা আফগান ঘোষণা করতে হবে। এর পর তাঁর আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি পরিষেবা মেলে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, বন্ধ হয়ে যাবে তা-ও। এর পর জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এনে সকলকে বের করে দেওয়া হবে বলে দাবিও করেন অভিষেক।