কলকাতা পুজো

করোনাসুরকে তোয়াক্কা না করেই খুঁটি পুজো দিয়ে মায়ের আগমনী বার্তা দিল বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী

ইশিতা উপাধ্যায়, কলকাতাঃ রথের রশিতে টান পড়ার সঙ্গেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যায়। বিগত কয়েকবছর ধরে শহর জুড়ে খুঁটিপুজোর প্রথা বেশ জাঁকজমক পূর্ণভাবেই পালিত হয়ে আসছে। তবে এবছর করোনার কারণে সে প্রথায় ভাঁটা পড়ে গিয়েছে। তবে বাঙালির আবেগকে রোধ করার ক্ষমতা কোনও কিছুরই নেই। ইতিহাস সাক্ষি আছে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, প্লেগ মহামারী কোনও কিছুই বাংলার দুর্গা পুজোকে আটকাতে পারেনি। করোনাসুর-এর চোখ রাঙানিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আনলক টু-এর প্রথম দিনেই কলকাতায় শুরু হয়ে গেল পুজোর প্রস্তুতি। সৌজন্যে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী। প্রথা মেনেই উল্টো রথের রশিতে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে গেল শারদোৎসবের খুঁটি পুজো। বেলেঘাটা ৩৩ পল্লীবাসী বৃন্দের এবারের মন্ত্র- ‘হতাশাতেও আশা আছে/পুজো এবার এল কাছে…’। পুজোর বাজেটে ২০ লক্ষ টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে, তবে আড়ম্বরে কোনও ঘাটতি থাকবে না বলেই জানিয়েছে ৩৩ পল্লী পুজো কমিটি। করোনা পরিস্থিতিতে এবারে কলকাতার দুর্গাপুজো নিয়ে মাঝে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও তা বেশিদিন টিকে থাকেনি। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ কমিটি থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুজো হবেই। এদিন ৩৩ পল্লীর খুঁটি পুজোতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা এই পুজোর পৃষ্ঠপোষক পরেশ পাল। সামিল হয়েছিলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন, অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তও, বিধায়ক পরেশ পাল, রতন দে এবং ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর চেয়ারম্যান নীতিশ সাহা। করোনাকালে ৩৩ পল্লীর পুজো নিয়ে পরেশ পাল বলেন, ‘মানুষের সেবা করলেই মায়ের সেবা হয়। ওঁরা তাই করে। পুজো যেমন হয়, তেমনই হবে। সামাজিক দূরত্ববিধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, খুঁটি পুজোর পাশাপাশি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী। উদ্যোক্তারা আশাবাদী, করোনা ভাইরাসকে তাড়িয়ে দিয়েই ‘মা দুর্গার আগমন হবে’।