বাংলার দোরগোড়ায় প্রায় অতি শক্তিশালী সাইক্লোন ‘দানা’। বড় দুর্যোগের ভয়ে কাঁটা মানুষ। জেলায় জেলায় চলছে উদ্ধার কাজ। প্রায় গভীর রাতে ল্যান্ডফলের আগেই অতি সতর্কতামূলক এলাকাগুলি থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে জোরকদমে। বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় দানা সম্পর্কে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধার কাজের লেটেস্ট আপডেট দিয়ে মমতা বলেন, “আমরা উদ্ধার কাজের জন্য ৩৫৬৯৪১ জনকে চিহ্নিত করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাঁরা সম্মতি দিয়ে ক্যাম্পে এসেছেন তাঁদের সংখ্যা ১, ৫৯৮৩৭ জন। ৮৫১ টি ক্যাম্প চালাচ্ছি। রিলিফ ক্যাম্পে ৮৩৫৮৩ জন আছে। সুনামি হওয়ার পর আমরা অনেকগুলি রিলিফ সেন্টার করে দিয়েছিলাম। সবাই ২৪ দিন ব্যাপী ছিলেন সেখানে।” মোট ৮৫১টি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সব হেল্পলাইন নম্বরগুলি চালু করা হয়েছে। নবান্নের হেল্পলাইন নাম্বার- ০৩৩ ২২১৪-৩৫২৬। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বলা হয়েছে নিজের জেলায় জেলায় অফিসিয়ালি সিস্টেম তৈরি করে প্রশাসনিক কর্তারা নজর রাখবেন। আগাম সতর্কতা হিসেবে কাজ করতে হবে বলেও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মানুষের জীবন দামি। নবান্নতে আমি আজ রাতে থাকব। লক্ষ্য রাখবো আমি নিজের ঘর থেকেই।” নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী, বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পূর্ত সচিব।