ষষ্ঠীর দুপুর ১২টায় ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে বাঙালির সাজে হাজির হয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাঙালিকে নিজের ভাষণ শুনিয়েছিলেন তিনি। তাতে ছিল না বাংলার ক্ষততে প্রলেপ দেওয়ার কোনও চেষ্টা। সেদিনের সেই সব বুলি যে শুধুই ভোটমুখী বাংলার আমজনতার ভোট প্রাপ্তির জন্যই ছিল সেটা আরও একবার দেখিয়ে দিল মোদির সরকার। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় বাংলাকে আগামী নভেম্বর মাসের রেশন দেবে না কেন্দ্র। সম্প্রতি চিঠি দিয়েই তা রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে মজার কথা, এই অবস্থার জন্য কেন্দ্রের তরফে কার্যত দোষ চাপানো হয়েছে রাজ্যের ওপরেই। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার জেরেই এখন এটা খুব পরিস্কার যে মোদি সরকার কতটা বাঙালি ও বাংলা বিরোধী। ষষ্ঠীর দিনে প্রধানমন্ত্রীর ধুতি-পাঞ্জাবির সাজ আর আধো আধো বাংলা বুলি যে নেহাতই ভোট কুড়ানোর নাটক এমটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর নামে কার্যত চূড়ান্ত অপরিকল্পিত ভাবে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তার জেরে সব থেকে দুর্বাস্থর মধ্যে পড়েছিল দেশের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে সমাজের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষেরাও দুরাবস্থার মুখে পড়ে যান। তার জেরেই একরকম বাধ্য হয়েই কেন্দ্র সরকার নিজের মুখ বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন দেশবাসী। কিন্তু এখন কেন্দ্র সরকার বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, অন্ন বিতরণ পোর্টালে বাংলার সরকার কোনও তথ্য দেয়নি। তাই নভেম্বর পর্যন্ত দেশের অনান্য রাজ্যগুলি রেশন পেলেও বাংলার মানুষ নভেম্বর মাসে তা পাবেন না। নভেম্বর মাসের রেশন পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হবে না।