পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, খুন, অশান্তির ছবি উঠে এসেছে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের। রাজ্যে প্রথম পঞ্চায়েতের ভোটের বলি এটাই। মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের এই খুনের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মুর্শিদাবাদের ইলেকশন অফিসারের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের খবর মেলে। শনিবারও ফুরফুরাশরিফ, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থেকে বোমা উদ্ধার হয়। দোড়গোড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। ইতিমধ্যেই তার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হয়ে গেছে শুক্রবার থেকেই। মনোনয়নের প্রথম দিনেই থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর সামনে এসেছে। কোথাও তৃণমূল বনাম তৃণমূল । কোথাও বা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফের সমর্থকরা। কোথাও বাম নেতাকর্মীদের আটকে রেখে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তাই নিয়ে ধন্ধুমার বিডিও অফিস চত্বর। ভরতপুরে বিডিও-র সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন শাসক দলের দুই নেতা। কোতুলপুরে বিজেপি বিধায়ককের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ। নন্দীগ্রামে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই ফের অশান্তি। কাটোয়ায় মনোনয়ন দিতে না পেরে কেঁদেই ফেলেন বিজেপি প্রার্থী। আবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে ডোমকল ব্লক অফিসে ঢোকার মুখে বাম কর্মী-সমর্থকদের আটকে রেখে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। এমনকি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে।