মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে সরকারি কর্মচারীদের অ্যাড হক বোনাস বাড়ানো হচ্ছে। সেই মতো ঈদের আগে সেই বর্ধিত হারে অ্যাড হক বোনাস পেলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। রাজ্যের অর্থ দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঈদের আগেই রাজ্যের কয়েক হাজার মুসলিম সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বোনাসের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীরা ছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, শিলিগুড়ি মহকুমা পর্ষদ, জিটিএ এবং ডিআরডিসি-তে কর্মরত মুসলিম কর্মচারীরা মাথাপিছু ৫,৩০০ টাকা করে অ্যাড হক বোনাস পাচ্ছেন। গতবার অ্যাড হক বোনাসের অঙ্ক ছিল ৪,৮০০ টাকা। এ বার তা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, বাম সরকারের আমলে খুব সামান্য অ্যাড হক বোনাস পেতেন সরকারি কর্মীরা। ২০০২ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার ১,০০০ টাকা বোনাস ঘোষণা করেছিল। যার প্রতিবাদে মহাকরণে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কর্মীরা। বাম সরকার বিদায় নেওয়ার আগে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অ্যাড হক বোনাসের অঙ্ক ছিল ২,০০০ টাকা। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বোনাসের অঙ্ক বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হয়। সেটাই বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালে হয়েছিল ৪,৮০০ টাকা। আর এ বার তা আরও ৫০০ টাকা বেড়ে হলো ৫,৩০০। যাঁদের বেতন মাসিক ৩৮ হাজার টাকার মধ্যে ছিল, গত বছর পর্যন্ত তাঁরাই এই বোনাস পেতেন। এ বছর বেতনের ঊর্ধ্বসীমা হয়েছে ৩৯ হাজার টাকা। তাই গতবারের থেকে এবার আরও বেশি পরিমাণে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এই বোনাস পেয়েছেন বা পেতে চলেছেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা আড়াই লক্ষের মতো। এঁদের এক তৃতীয়াংশ ঈদ ও দুর্গাপুজোর সময়ে এককালীন বোনাস পান। নতুন বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন বেশিরভাগ সরকারি কর্মীই ৩৯ হাজারের বেশি বেতন পান। ফলে তাঁরা অ্যাডহক বোনাস পান না। এখন মূলত Group-D ও Lower Division Clerk হিসেবে যাঁরা সদ্য কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই এই সুবিধে পেয়ে থাকেন। যাঁরা অস্থায়ী ভিত্তিতে সরকারি দফতরে কাজ করেন, তাঁরাও অ্যাড হক বোনাস পান। প্রতি মাসে তাঁরা যে মজুরি বা পারিশ্রমিক পান, তার সম অঙ্কের টাকা বোনাস হিসেবে পান অস্থায়ী কর্মীরা। তবে সেটা ৫,৩০০ টাকার বেশি নয়।