জেলা

ভারতকে পথ দেখাবে বাংলা: মুখ্যমন্ত্রী

আজ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুরে পদযাত্রা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে রাস্তার দুপাশে ভিড় ছিল দেখার মত। গান্ধীজীর মূর্তিতে এদিন ফুল প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে উত্তরের জেলার উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমি চলব, গলব, প্রয়োজনে মানুষের জন্য রক্ত দেব। তবে ছেড়ে পালাব না। এই উত্তরবঙ্গ একদিন অবহেলিত ছিল। কেউ আসত না। এখন কত পর্যটন কেন্দ্র, হাসপাতাল, স্টেডিয়াম, স্কুল, কিছু বাকি নেই। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদনকারী আরও ১৩ লক্ষ মহিলা আবার লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন। কন্যাশ্রী এবার বেড়ে ৯৫ লক্ষ হয়ে গেল। ৮৫ লক্ষ মেয়েকে বিয়ের টাকা দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছর হলে আর লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না, সেটা বার্ধক্য ভাতায় পরিবর্তিত হয়ে যাবে। চায়ের পাট্টা দিচ্ছি। মজদুররা পাট্টা পাবেন। ভারতকে পথ দেখাবে বাংলা।’ কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে এদিন তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে থাকতে গেলে ঠোকাঠুকি লাগে। পরে ঠিক হয়ে যাবে। কেউ ইচ্ছাকৃত ভুল করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে রেল মিনিস্টার ছিলাম।একলাখি বালুরঘাট আমি করেছিলাম। ১৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ আমি করেছিলাম। তার মধ্যে ৯৭ শতাংশ আপনাদের ঢুকিয়েছিলাম। মেধাশ্রীর ওবিসির টাকা বন্ধ করেছে।১০০ দিনের টাকা দেয়নি। বাংলাকে বঞ্চনা লাঞ্ছনা করবে। আর ভোটের সময় ভোট চাইবে। ৩৬৫ দিন মানুষের সঙ্গে থাকি। যদি কেন্দ্র এক তারিখে টাকা না দেয় আমি ওদের ডাকব। আমার সব টাকা বন্ধ করেছে। তারপরও ইমাম, পুরোহিতদের সাহায্য দিই। এখন বিনামূল্যে রেশনও দেয় না।কোভিডে ছমাস রেশন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।হামকো নেহি চাহিয়ে হাম খুদ করেঙ্গে।সামনে বাজেট আছে। সেটাও করতে হবে।কেন্দ্রের এবার বাজেট নেই,বকম বকম করছে। আবার বলেছে এনআরসি করবে, একতন্ত্র চলবে। বর্ডার এলাকায় বিএসএফ বলছে কার্ড নিতে। ওই কার্ড নেবেন না। নাগরিক না হলে আপনি রেশন পান কী করে? মিথ্যে কথা বলছে।বাংলায় এনআরসি চালু করতে দেব না। আগেও দিইনি। এখনও দেব না।প্রয়োজনে দেব রক্ত। বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম কে হারিয়ে দিতে পারে এক মাত্র তৃণমূল।