গত শনিবার বেঙ্গালুরুর সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে হোটেলে হাসিমুখে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল মায়া গগৈ নামে ওই অসমের ২২ বছরের তরুণী ব্লগারকে । সঙ্গে ছিলেন তাঁর প্রেমিক। হোটেলে প্রবেশের সেই ছবি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। তিনদিন পর সেই এপার্টমেন্ট থেকেই উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। অভিযুক্ত প্রেমিক। এখন তরুণীর সেই প্রেমিকের খোঁজ মিলছে না। তাঁকেই সন্দেহভাজন বলে মনে করছে পুলিশ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল বেঙ্গালুরুতে। শনিবার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিলেন মায়া গগৈ। পুলিশের অনুমান, মৃতার সঙ্গে প্রায় দুদিন একই ঘরে ছিলেন অভিযুক্ত। যার মধ্যে অধিকাংশ সময়ই তিনি সিগারেট খেয়ে কাটিয়েছিলেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৩ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তরুণী এবং তাঁর বয়ফ্রেন্ড একসঙ্গে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী দুজনেই খুব হাসিখুশি প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার ২৬ তারিখ বয়ফ্রেন্ড আরভ হ্যানয় রুম থেকে একাই বেড়িয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, শনিবার থেকে আরভের সঙ্গে থাকলেও সেদিন মধ্যরাতে তাঁকে খুন করেন অভিযুক্ত। সেই কারণেই একটি ই-কমার্স সাইট থেকে দুই মিটার লম্বা দড়ি অর্ডার করেছিলেন। তদন্তে নেমে শিউরে উঠছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, মনে করা হচ্ছে, খুন করার পর ছেলেটির পরিকল্পনা ছিল দেহটিকে টুকরো টুকরো করে লোপাট করে দেওয়ার। সেই কারণেই নিহত প্রেমিকার পাশে শুয়ে বসে লাগাতার ধূমপান করতে থাকেন তিনি। শেষপর্যন্ত পরিকল্পনা বাতিল করে বেরিয়ে পড়েন ক্যাব বুক করে। পুলিশ এখনও তাঁর খোঁজ পাননি। মঙ্গলবার সকালে আরভ সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তার কয়েক ঘণ্টা পরে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বার হতে শুরু করে। হোটেল কর্মীরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক নমুনাও সংগ্রহ করে তারা। মায়ার দেহ কেটে টুকরো করে লোপাট করার চেষ্টা করেছিলেন কি না আরভ, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।