জেলা

বাগুইআটিতে জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হাওড়ায়

বাগুইআটিতে জোড়া খুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাওড়া স্টেশন থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট । ধৃতের নাম সত্যেন্দ্র চৌধুরী । জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বিহারের দিকে পালানোর ছক কষছিল সত্যেন্দ্র ৷ তবে আগে থেকে খবর পেয়ে তাকে বৃহস্পতিবার প্রথমে আটক করে এবং শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একাধিকবার মোবাইলের সিম এবং ফোন নম্বর বদলে ফেলছিল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র ৷ এভাবেই সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল । ঘটনার তদন্ত নেমেছিল সিআইডির গোয়েন্দারা । তবে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের কাছেই আগে খবর আসে, সত্যেন্দ্র এই শহরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে । ভিন রাজ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সত্যেন্দ্র ৷ ফলে হাওড়া-সহ একাধিক কমিশনারেটের সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের খবর দেওয়া-নেওয়া চলছিল ৷ সেই মতো বিধাননগর পুলিশ জানতে পারে সত্যেন্দ্র ট্রেন ধরে বিহারে পালানোর চেষ্টা করছে । বৃহস্পতিবার ট্রেনে ওঠার ঠিক আগের মুহূর্তে তাকে ধরে ফেলে বিধাননগর কমিশনারেট । পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকশন ট্র্যাক করেই ধরা

বাগুইআটিতে জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী

হয়েছে তাঁকে ৷ এদিন সকালে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সত্যেন্দ্রর ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখায় পুলিশকে ৷ সেই মতো তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে ধরা হয় ৷ কিন্তু এতদিন কেন টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে ধরা গেল না ? পুলিশের সূত্রের দাবি, গত ২৫ অগাস্ট থেকে সত্যেন্দ্র একাধিক জেলায় ঘুরে বেড়াতেন ৷ ফোন অন করত মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ৷ ওই সময়ের মধ্যেই অভিষেক নস্কর ও অতনু দে-র পরিজনদের হুমকি মেসেজ পাঠাত ৷ তার পর ফোন বন্ধ করে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যেত ৷ ফলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় গিয়ে আর সত্যেন্দ্রকে খুঁজে পাওয়া যেত না ৷ কিন্তু শুক্রবার সকালে মুম্বই যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার পরিকল্পনা ছিল তাঁর ৷ সেই মতো তিনি একটি বেসরকারি টিকিট কাউন্টারে গিয়েছিলেন ৷ তখন টাকার জন্য তিনি বিভিন্ন জনকে ফোন করেন ৷ সেই সময় তাঁর ফোন প্রায় আধঘণ্টা অন ছিল ৷ ফলে এদিন তাঁর টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করতে অনেক সুবিধা হয় পুলিশের ৷ হাওড়া স্টেশন থেকে ধরার পর সত্যেন্দ্রকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসে ৷ সেখানে পৌঁছে যান সিআইডির আধিকারিকরাও ৷ যৌথভাবে জেরা করা হয় তাঁকে ৷ তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া বারাসত আদালতে ৷