আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আবারও কি গেরুয়া শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একান্তে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক সেরেছেন বিমল গুরুং ও মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। আর তাঁদের এই সাক্ষাতের পরই সরগরম শৈলরানীর রাজনীতি। বৈঠক শেষে রোশন জানিয়েছেন, পাহাড়ের রাজনীতির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ৷ তবে এর বেশি অন্য কোনও তথ্য দিতে তিনি রাজি হননি ৷ বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ দীর্ঘদিনের ৷ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবির সঙ্গে বিজেপির পরিচয়ও পুরনো ৷ অতীতে নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে গোর্খাল্যান্ডকে আলাদা রাজ্য করার কথা বলেছিল গেরুয়া শিবির ৷ সেই সূত্রে বাংলার অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হওয়ার আগেই দার্জিলিং লোকসভা আসন দখল করতে পেরেছিল তারা ৷ 2009 সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপির যশবন্ত সিং ৷ 2011 সালে বাংলায় পালাবদলের পরেও বিমলদের সঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সমঝোতা হয় ৷ 2014 সালের লোকসভা ভোটে এসএস আলুওয়ালিয়া নির্বাচনে জয়ী হন ৷ 2019 সাল থেকে পরপর দু’বার দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে জিতেছেন বিজেপিরই রাজু বিস্তা ৷
পাহাড়ের রাজনীতি
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অলোক চক্রবর্তী বলেন, “বিমল গুরুং কী করবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। আমাদের অনিত থাপার সঙ্গে জোট রয়েছে।”
রোশন গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পাহাড়ের রাজনীতি নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে । দীর্ঘদিন ধরে আমরা কয়েকটি দাবি করে আসছি ৷ সেসব নিয়ে বিস্তারিত চর্চা হয়েছে। এর বাইরে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।”
দার্জিলিং হিল বিজেপির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান বলেন, “মোর্চা নেতা বিমল গুরুং বিজেপির সঙ্গেই ছিলেন আর বিজেপির সঙ্গেই আছেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন।”
গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সঙ্গে দরদাম করতে গিয়েছিলেন বিমলরা। যেখানে লাভের সম্ভাবনা আছে সেখানেই যান বিমল গুরুংরা। সামনে বিধানসভা নির্বাচন সেজন্য লাভ পেতেই এসব করছেন। এসব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।”


