জেলা

নন্দীগ্রামে তৃণমূল করার অপরাধে মহিলাকে গাছে বেঁধে অত্যাচার চালাল বিজেপি

ভিডিও পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। যদিও ঘটনার সত্যতা বঙ্গ নিউজ যাচাই করেনি।  নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মনুচকে তৃণমূল করার অপরাধে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে অত্যাচার চালাল বিজেপি। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়। ওই মহিলার অভিযোগ তার ৫০০০নগদ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোনও লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মহিলা অভিযোগ প্রায় তিনজন এসে তার ওপর শারীরিকভাবে অত্যাচার চালায় এবং তাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে পাশে একটি গাছে নিয়ে বেঁধে বেদম প্রহার করে। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন এবং জানান যে বিজেপি কর্মীরা করেছে এই ঘটনা তাদের তিনি সতর্ক করেছেন। এর পরবর্তীকালে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় তাহলে গলা ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দিয়ে তিনি আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করাবেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখানেই যে গোটা রাজ্যে বিরোধীরা যখন শাসক দল তাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আনছে ,সেখানে নন্দীগ্রামে বিজেপির কর্মীদের পক্ষ থেকে এই ধরনের বর্বর ঘটনা কি করে একজন মহিলার প্রতি ঘটানো হলো? রাজ্যে যখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম অর্থাৎ কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল এসেছে সেই সময় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের এই হেনো বর্বর আচরণ রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেডকে।

দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ‘নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তৃণমূল করার অপরাধে, এক মহিলাকে এভাবেই গাছে বেঁধে অত্যাচার চালাল বিজেপি। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এলাকায় সামান্য দুই একটা পঞ্চায়েত জিতে যারা এই স্তরে সন্ত্রাস চালাতে পারে, বাংলার অন্যান্য প্রান্তে শক্তিবৃদ্ধি হলে তাদের বাংলাকে মনিপুর বানাতে যে বেশি সময় লাগবে না, তা বারংবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ তিনি লেখেন, ‘নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তৃণমূল করার অপরাধে, এক মহিলাকে এভাবেই গাছে বেঁধে অত্যাচার চালাল বিজেপি। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এলাকায় সামান্য দুই একটা পঞ্চায়েত জিতে যারা এই স্তরে সন্ত্রাস চালাতে পারে, বাংলার অন্যান্য প্রান্তে শক্তিবৃদ্ধি হলে তাদের বাংলাকে মনিপুর বানাতে যে বেশি সময় লাগবে না, তা বারংবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেখুন নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়াতে আমাদের দল করার অপরাধে, এই মহিলাকে ওখানকার বিজেপি-র স্থানীয় নেতারা এভাবেই বেঁধে রেখেছেন। তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়, তাঁকে মানসিক নির্যাতন করা হয়, তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। পুলিশ গিয়ে সেই মহিলাকে উদ্ধার করে। ভিডিওতেই মহিলা তাঁর বক্তব্য রেখেছেন, তিনি জানান কীভাবে কী হয়েছিল, না হয়েছিল! এখন সন্ত্রাসের যে কথা বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসটা ঠিক কোন জায়গা থেকে হচ্ছে! আমরা আজ দলের তরফ থেকে প্রকাশ্যে এনেছি যে, শুভেন্দুবাবু ৩৫৫ প্রয়োগের জন্য কী বলেছিলেন! তারপরেই আমরা দেখতে পাচ্ছি এই ঘটনা! তিনি একটা বিধানসভায় নন্দীগ্রামে, লোডশেডিং করে, চিটিংবাজি করে জিতেছেন। এবার দু’একটা পঞ্চায়েত পেয়েছেন। জেলা পরিষদে হেরেছেন। আর তাতেই যদি এই অবস্থা হয়! বাংলার মা-বোনেদের আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। তাঁদের গাছে বেঁধে রাখার মতো অমানবিক দৃশ্য সহ্য করা যায় না! যদি একটা পঞ্চায়েতে এমন হয়, তাহলে ভাবতে পারছেন গোটা বাংলায় যদি বিজেপি-র শক্তিবৃদ্ধি হয়, তাহলে এরা এই রাজ্য়টাকে মণিপুর বা উত্তরপ্রদেশ বানাতে সময় নেবে না। আমরা তীব্র নিন্দা করছি এই ঘটনার। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, দয়া করে শুভেন্দুবাবুদের কাছে মাথা নত করবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কিছু দ্বারা ভয় দেখাবে, অনেক কিছু করবে। তবে আপনারা মাথা নীচু করবেন না। আপনারা এর বিহিত করুন। আমরা এর যথাযথ বিচার চাই। আমরা তীব্র নিন্দা করছি।’