জেলা ভাইরাল

ভুয়ো ছবি পোস্ট করে শীতলকুচির আহত জওয়ান বলে দাবি করে ধরা পড়ে গেল অর্জুন ও শুভেন্দুর কীর্তি, নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

শীতলকুচির ঘটনায় গ্রামবাসীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের- ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও এমন কোনও প্রমাণ বা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসেনি। যদিও গেরুয়া শিবিরের বড় থেকে মাঝারি সহ সবস্তরের নেতারা দাবি করে চলেছেন, আক্রান্ত হয়েই আত্মরক্ষার তাগিদে গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ। আর এই যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে সোমবার সিআইএসএফের এক জওয়ানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলবদলু তিন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে তাঁরা দাবি করেন, গ্রামবাসীদের আক্রমণে জখম হয়েই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে সিআইএসএফ। জওয়ানের যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গালে ও মুখে মারাত্মক জখম রয়েছে তাঁর। গেরুয়া শিবিরের তরফে এদিন সকাল থেকে ছবিটি পোস্ট করার পরই আসল ‘সত্য’ সামনে এসে পড়ে। জানা যায়, ছবিটি সিআইএসএফ জওয়ানের হলেও, তাঁর সঙ্গে শীতলকুচির ঘটনার কোনও সম্পর্কই নেই। বিষয়টি যাচাই হওয়ার পর নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এব্যাপারে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির। তবে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি রাখা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনাটি আসলে কী? সিআইএসএফের জখম যে জওয়ানের পুরোনা ছবি দলবদলু বিজেপি নেতারা পোস্ট করেছেন, তিনি এএসআই এসপি শর্মা। সিআইএসএফের এই জওয়ান ধানবাদের বাগমারার বিকে-২ কোলিয়ারি এলাকায় কর্মরত। সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ এপ্রিল কর্মরত অবস্থায় হনুমানের আক্রমণে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে ওই সিআইএসএফ জওয়ান ধানবাদের সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিন বিকেলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সুখেন্দু শেখর রায় ভুয়ো ট্যুইট ছড়ানো বিজেপি নেতাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন।

https://twitter.com/SuvenduWB/status/1381305750383812616