জেলা

বোমা ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার বিজেপি বুথ সভাপতি

ভোটের মুখে বিজেপি বুথ সভাপতি ধরা পড়ল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ। বজবজ থানায় বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত ফোনে পুলিশ জানতে পারে এক ব্যক্তির কথা, যিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বজবজের গোবরঝুড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতেই তার কাছ থেকে পাওয়া যায় ওয়ান শটার বন্দুক। ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিত্‍ পোল্লে, তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের নামে আগে বজবজ থানায় একটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। পুলিশের জেরাতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা। ভোটে সন্ত্রাস ও গন্ডগোল পাকানোর জন্য ওয়ান শাটার বন্দুক ও প্রচুর বোমা মজুত করে রেখেছিলেন তিনি। বজবজ থানার অন্তর্গত বইতার দাসপাড়াতে ওই বিজেপি নেতার তথ্যের ভিত্তিতেই জঙ্গলে তল্লাসি চালিয়ে দু’টি ব্যাগ মিলিয়ে মোট ২১ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন পেয়েই, সাদা পোশাকে ওই এলাকায় যায় বজবজ থানার পুলিশ। তারপরেই বেআইনি অস্ত্র সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে বিশ্বজিতকে। ধৃত বিজেপি বুথ সভাপতিকে শুক্রবার অস্ত্রআইন ও বিস্ফোরক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে আলিপুর আদালতে তুলেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের এই অভিযানকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা নেতা সুফল ঘাঁটু। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বজিত্‍ পোল্লে বুইতার ৪ নম্বর মণ্ডলের বুথ সভাপতি। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে পুলিশ। ভোটের আগে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে এই চক্রান্ত তৃণমূলের।’ পাল্টা তৃণমূল বিজেপিকে দুস্কৃতিদের দল বলে দাবি করেছে। কিন্তু ভোটের সময়ে গ্রাম থেকে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসীরা। বিজেপির করা দাবি উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি নিজেই বোমা উদ্ধার করতে সাহায্যে করেছে। ভোটে সন্ত্রাস ছড়ানো হবে বলেই এই বোমা ও অস্ত্র মজুত করার দাবিও করেছেন ওই যুবক।