জেলা

গতবারের জয়ের ব্যবধান শুনেই পালিয়েছেন বিজেপির মনোনীত প্রার্থী, পবন সিংকে কটাক্ষ মলয় ঘটকের

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসানসোল লোকসভার প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করল ৷ নাটকীয়ভাবে পরেরদিন সকালে বিজেপির টিকিটে আসানসোল লোকসভা থেকে প্রার্থী হতে অস্বীকার করলেন পবন সিং। আর এনিয়ে আজ আসানসোলে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে পাশে নিয়ে সেই পবন সিংকে কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ তাঁর বক্তব্য, গত লোকসভা নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার জয়ের ব্যবধান শুনে ভয় পালিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ৷ শনিবার পবন সিংয়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর আসানসোলে বিজেপি তথা তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের শেষ ছিল না ৷ আর এনিয়ে রবিবার বিকেলে আসানসোলের রেলপাড় এলাকায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু একটি প্রচার অভিযানে মলয় ঘটক সরাসরি জানিয়েই দিলেন, পালিয়ে গেছে পবন সিং ৷ তিনি বলেন, “গতকাল শুনেছিলাম একজন গায়ক পবন সিং, বিজেপি নাকি তাঁকে প্রার্থী করেছে ৷ কিন্তু, আজকে সকালে শুনলাম তিনি ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেছেন ৷ রাতারাতি হয়তো খবর পেয়েছেন গতবার এখানে জয়ের ব্যবধান ছিল ৩ লাখ ৷ এবার হয়তো সেটা ৪ থেকে ৫ লাখ হয়ে যাবে ৷ আর সেই খবর পেয়ে তিনি পালিয়েছেন ৷” মলয় ঘটকের দাবি, “এখানে পবন সিংহ হোক আর যেই হোক, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা ছিলেন, তিনিই থাকবেন ৷ গতবারের চেয়ে জয়ের ব্যবধান আরও অনেক বাড়বে ৷ যেভাবে তিনি কাজ করেছেন ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে থাকে, তাতে মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কেউ এখানে থাকবে না ৷” যদিও, পবন সিংয়ের প্রার্থী না হওয়া নিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহাকে কড়া ভাষায় কিছু বলতে শোনা যায়নি ৷ শত্রুঘ্ন বলেন, “ভারতবর্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার চলছে এ রাজ্যে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আমাকে তাঁর সৈনিক করেই এখানে পাঠানো হয়েছে ৷ আর এখানকার নেতৃত্ব যেভাবে দাবি করছেন, তাতে আশা করছি এবার চার থেকে পাঁচ লাখ ভোটে তৃণমূল জয় লাভ করবে ৷” আপনি বিহারীবাবু বলেই কি বিহার থেকে প্রার্থী আনার চেষ্টা করছে বিজেপি ? এই প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন বলেন, “আমি যেমন বিহারীবাবু, তেমনি এখানে আসার পর আমি বাঙালি বাবু হয়েছি ৷ কিন্তু, আসলে আমি হিন্দুস্তানি বাবু ৷”