জেলা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বৈঠকে প্রবেশের অনুমতিই পেলেন না বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নেতৃত্বে চারটি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক হয় মঙ্গলবার ৷ ওই বৈঠকে দেরি করে আসায় ঢুকতে পারলেন না বীরভূমের বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। ফলে মিটিং চলাকালীন তিনি বাইরেই থাকলেন। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। যদিও বীরভূমের বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বিষয়টি নিয়ে আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “বিজেপি শৃঙ্খলা পরায়ণ দল। তাই সকলের ক্ষেত্রে নিয়ম এক। তাদের একটাই লক্ষ্য তৃণমূল মুক্ত বাংলা।” ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চারটি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। মঙ্গলবার বেলায় বর্ধমান জেলা-বিজেপি কার্যালয়ে তিনি বৈঠক করতে আসেন। এদিন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা, পূর্ব বর্ধমান লোকসভা, বোলপুর লোকসভা ও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের নিয়ে তিনি বৈঠক শুরু করেন ৷ সেখানেই লেট করে পৌঁছন বীরভূমের বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রাজ্যের নেতাদের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে সবকটিতেই জেতার টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। কীভাবে সেই টার্গেটে পৌঁছনো যায় সেই নিয়ে জেলায় জেলায় চলছে বিজেপির কেন্দ্রীয়-রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠক। এদিন ৪ জেলার আটটা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির ক্ষমতা দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয় ৷ বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “রাস্তায় যানজট থাকায় বীরভূম থেকে বর্ধমানে আসতে দেরি হয়ে যায়। এদিকে মিটিং শুরু হয়ে যায়। যেহেতু আমাদের দল শৃঙ্খলা পরায়ণ দল তাই মিটিংয়ে ঢুকতে পারিনি। এটা আমাদের দলের নিয়মেই পড়ে। ওনার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য তৃণমূল মুক্ত বাংলা গঠন করা। মোদি বলেছেন, ৪২ এ ৪২ লড়াই হবে। সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”