দেশ জুড়ে বিজেপির আগ্রাসন, ধ্বংসাত্মক জনবিরোধী নীতি, সংবিধানকে বদলে দিয়ে নতুন করে লিখতে চাওয়া, ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এসবের বিরুদ্ধে ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় ক্যালকাটা ক্লাবে একটি সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বিজেপি চায় এক দেশ, এক ভোট, এক খাদ্য, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি, এক মুখ। কিন্তু আমাদের সংবিধান সে কথা বলে না। এরা নতুন করে সংবিধান তৈরির কথা বলছে। আমি মনে করি না নতুন করে সংবিধান তৈরির প্রয়োজন আছে। আমাদের যে সংবিধান রয়েছে, সেখানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের কথা বলা আছে। মানুষের অধিকারের কথা বলা আছে। কে কী খাবে, কী পরবে, কোন ভাষায় কথা বলবে, সবটাই জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যেভাবে দেশ চলছে, যেভাবে সব বদলে ফেলা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে চলেছি! কিন্তু মনে রাখবেন, এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা আদর্শের জন্য জীবন দিতে পারেন। কিন্তু মাথা নোয়াবেন না। একদিন না একদিন এই হিটলারি জমানার শেষ হবেই। নতুন সূর্য উঠবেই। এই যে ন্যায় সংহিতা না অন্যায় সংহিতা কী আইন এনেছে- তা পড়তেও দেয়নি। পাশ করিয়ে নিয়েছে। জিএসটির টাকা নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের প্রাপ্য দিচ্ছে না। ৩৫৪টা টিম এসেছে বাংলায়। ভাবুন! আমি রাজীব গান্ধী, নরসিমা রাও, গুজরাল, মনমোহন সিংদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু এরকম প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। যিনি সবেতেই নিজের ছবি ছাপেন। আমি সাত বারের সাংসদ। কেন্দ্রে একাধিকার মন্ত্রী থেকেছি। তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী। আমার অভিজ্ঞতাও কম নয়। বিরোধী দলে থাকার সময় প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর এখনও ক্ষমতায় থেকে রোজ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেশের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। সিবিআই-ইডি দিয়ে তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এজিনিস চলতে পারে না। লড়াই চলবে।