“পশ্চিমবঙ্গে তালিবানি শাসন চলছে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করে দিল ৷ বিজেপি করলেই মার খেয়ে মরতে হবে ৷ আমরা মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হব ৷” মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে গণপিটুনিতে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ৷ গত 11 সেপ্টেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলতলা এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে ৷ মৃত যুবকের নাম প্রতাপ মণ্ডল (২৩) ৷ তাঁর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর গ্রামে ৷ নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল গেমের প্রতি আসক্তি ছিল প্রতাপের ৷ সারাক্ষণ মোবাইলে গেম খেলতেন তিনি ৷ সেদিন রাতে মোবাইলে ফোন করে কেউ বা কারা প্রতাপকে ডেকে পাঠায় ৷ পরদিন ভোরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, মোবাইল চুরির অভিযোগে প্রতাপকে মারধর করা হয়েছে ৷ পরিবারের সদস্যরা বাড়ির ছেলেকে আনতে গেলে মোবাইল চুরির জরিমানা হিসেবে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা ৷ অবশেষে কোনও একটি কাগজে সই করে প্রতাপকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাঁর বাড়ির লোকেরা ৷ এরপর প্রতাপকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের ৷ এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা ৷ বিজেপি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রতাপ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ৷ বিজেপি করার ‘অপরাধে‘ই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি গেরুয়াশিবিরের ৷ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বিজেপি-র পক্ষ থেকে ওই এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয় ৷ শুক্রবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সায়ন্তন বসু ৷ সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল-সহ বিজেপির অন্য নেতারা ৷