জেলা

বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে গাঁজার স্তূপ, ছবি প্রকাশ তৃণমূলের

‘গাঁজা ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে দলের মনোনয়ন দিয়েছেন’। হাওড়াকাণ্ডে সরব তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘তাহলে বিজেপি নেতাদের মানতে হবে যে, গাঁজার চাষ জেনেই তাঁরা তাঁকে দলে নিয়েছেন’। হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়। গতকাল, শনিবার স্থানীয়  নবঘরা সরদারপাড়ায় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় হাওড়া পুলিস। উদ্ধার হয় ৪১ কেজি গাঁজা। শুধু তাই নয়, গাঁজা বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী নিমাই রায়-সহ ৩ জনকে।নিমাই নিজেও বিজেপির কিষাণ মোর্চার নেতা। এদিন যখন আদালতে পেশ করা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘ব্যবসা আমার মায়ের। আমরা তিনভাই খেতে পাইনি। এই পয়সায় খেয়ে বড় হয়েছি। আমার মেয়ে এখনও এই পয়সায় পড়াশোনা শিখছে’। বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত, কোথা থেকে হয়েছে, কী হয়েছে,সব আমি তো বুঝতে পারছি। আমার কাছে খবর এসেছিল, তোমাকে ফাঁসাবে। টিএমসি চক্রান্ত করেনি, আমার দলের লোক করেছে’।বিজেপি নেত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গাঁজার পাহাড়। ওই বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে হানা দিয়ে গাঁজা উদ্ধার–সহ তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেই গাঁজার ব্যবসা করার অভিযোগ ছিল। শনিবার এই ঘটনা ঘিরে তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়া জেলার সাঁকরাইলের নবঘড়া সর্দার পাড়ায়। সেখান থেকেই ৪১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা রূপা রায়ের নবঘড়া সর্দারপাড়ার বাড়ি থেকে প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে হাওড়া পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ ও সাঁকরাইল থানা। নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী নিমাই রায় ওরফে নাদু–সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিমাইবাবু এলাকার বিজেপি নেতা।